শ্রীলংকাকে সহজেই ৫ উইকেটে এবং ১৬০ বল হাতে রেখে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এতে করে নেট রানরেটে অনেক এগিয়ে গেছে কিউইরা। সেমিতে উঠার পথে তাদের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের সামনে তাই প্রায় অসম্ভব এক সমীকরণ দাঁড়িয়েছে। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া নিউজিল্যান্ডের রানরেট এখন ০.৭৪৩। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের এখনও সুযোগ আছে ১০ পয়েন্ট পাওয়ার। পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান আর আফগানিস্তান জয় পেলে কী হবে? তখন নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান তিন দলেরই পয়েন্ট হবে ১০। তখনই আসবে রানরেটের হিসেব। অর্থাৎ যে কোনো দুই দলও যদি ১০ পয়েন্ট পেয়ে যায়, তখন রানরেটে এগিয়ে থাকা দল সেমিতে খেলবে। এখন পাকিস্তানের রানরেট ০.০৩৬, আফগানিস্তানের –০.৩৩৮। নিউজিল্যান্ডের তুলনায় দুই দলই রানরেটে বেশ পিছিয়ে। তবে কি তারা বাদ? কাগজে–কলমে এখনও সম্ভাবনা আছে দুই দলেরই। তবে সেটা প্রায় অসম্ভব এক সমীকরণ। পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে নাম লেখাতে হলে কমপক্ষে ২৮৭ রানের ব্যবধানে হারাতে হবে ইংল্যান্ডকে (পাকিস্তান আগে ব্যাটিং করে ৩০০ রান করলে)। তখন ইংল্যান্ডকে অলআউট করতে হবে মাত্র ১৩ রানে। আর পরে ব্যাটিং করে ইংলিশদের ৫০ রানে অলআউট করতে পারলে পাকিস্তানকে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ২.৩ ওভারে। অথবা যদি ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করে ১৫০ রানের মধ্যে আটকে যায়, তবে পাকিস্তানকে ৩.৪ ওভারের মধ্যে সেই রান চেজ করতে হবে। যা কিনা অসম্ভব। অন্যদিকে আফগানিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডের নেট রানরেট পার করতে চায় তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কমপক্ষে ৪৩৮ রানের ব্যবধানে হারাতে হবে তাদের। যেটাও আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব। অকল্পনীয় কিছু না ঘটলে সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডই হতে যাচ্ছে, তা এখন অনেকটাই নিশ্চিত।
