নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের (পিটিআই) বিক্ষোভযাত্রার সময় ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পিটিআই থেকে টুইট করে বিভিন্ন নগরীতে তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের খবর জানানো হয়েছে। ফয়সালাবাদে পিটিআই নেতা ফারুখ হাবিবের নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলছে। রাওয়ালপিন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর বাসভবনের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই কর্মীরা। তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিচ্ছে বলে জানায় পাকিস্তানের ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডন। করাচিতে পিটিআই সমর্থকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করলে পুরো নগরজুড়ে ভয়ঙ্কর যানজট তৈরি হয়। করাচির শারে ফয়সাল, নর্থ নাজিমাবাদ, লন্ধি, কাউইদাবাদ, নর্থ করাচি, হাব রিভার রোড ও মাউরিপুরে বিক্ষোভ হচ্ছে। বেলুচিস্তানের কোয়েটা শহরেও ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেখানকার বিমানবন্দর সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পেশাওয়ারে সেনা কমান্ডারের বাড়ির বাইরেও বিক্ষোভ হচ্ছে। খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। হামলার পর সন্দেহভাজন হিসাবে যে তিন জনের নাম দলের নেতাদের জানিয়েছেন ইমরান, তাদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নাম। এ ছাড়াও এই হামলার নেপথ্যে সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও মেজর জেনারেল ফয়জল নাসিরেরও হাত রয়েছে দাবি করেছেন পিটিআই দলের প্রধান। এই কথা জানিয়েছেন ইমরান-ঘনিষ্ঠ আসাদ উমর। এক ভিডিও বার্তায় উমর দাবি করেছেন যে, হাসপাতাল থেকে তাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন ইমরান। তার পরই এই কথা তাদের জানান। ইমরানের উপর যে হামলা চালানো হতে পারে, সেই খবর আগেই তিনি পেয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পিটিআই নেতা মিয়ান আসলাম ইকবালের পাশে বসে এক ভিডিও বার্তায় উমর বলেছেন, ‘উনি (ইমরান) বলেছেন যে, হামলায় ওই তিন ব্যক্তিই জড়িত। শাহবাজ শরিফ, রানা সানাউল্লাহ, মেজর জেনারেল ফয়জল।’ এই তথ্য দেশবাসীকে জানানোর জন্যও ইমরান তাদের বলেছেন বলে দাবি করেছেন উমর। বস্তুত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গদিচ্যুত হন ইমরান খান। তার পর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল পিটিআই। শাহবাজ সরকারকে সরাতে উঠেপড়ে লাগেন ইমরান-অনুগামীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমাবেশ করে পিটিআই। সমপ্রতি সে দেশে উপনির্বাচনে সাফল্যও পায় ইমরানের দল।