পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিলনা কারোই। কিন্তু মাঠে নেমে অন্য এক বাংলাদেশকে দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। এরই মধ্যে প্রথম টেস্ট জিতে এমনিতেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়টি জিতলে বা ড্র করলে সিরিজটাও নিজেদের করে নেবে টাইগাররা। আর সে টেস্টে জয়ের দিকে এগুচ্ছে টাইগাররা। বলা যায় জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের সেই লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে তারা। বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডির পাটা পিচে আগুন ঝরালেন বাংলাদেশের পেসাররা। পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে রেখেছিলেন তরুন পেসার হাসান মাহমুদ। গত রোববার অর্থাৎ তৃতীয় দিনের শেষবেলায় পাকিস্তানের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই ডানহাতি পেসার। গতকাল সেই ধারা বজায় রাখলেন তিনি। সঙ্গে পেলেন বাকি দুই পেসার নাহিদ রানা ও তাসকিন আহমেদকে। তারা তিনজন মিলে তুলে নিলেন পাকিস্তানের সব উইকেট। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হলো ১৭২ রানে। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদশের পেসারদের এমন ১০ উইকেট তুলে নেওয়ার নজির এটাই প্রথম দেখা গেল। এর মধ্যে হাসান মাহমুদ ৪৩ রানে একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা হাসান মাহমুদের এটিই তার প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট লাভ। আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়া প্রথম পেসারও তিনি। তাই এটা এই তরুন পেসারের ক্যারিয়ারে যেন নতুন মাইলফলক। আরেক পেসার নাহিদ রানা ৪৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন তাসকিন। টেস্টে প্রথম হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পেসারদের ১০ উইকেট নেওয়ার ঘটনা আরও আছে। গত ২৩ মার্চ সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০১ রানে অলআউট হয়েছিল আইরিশরা। সবকয়টি উইকেট ভাগ করে নিয়েছিলেন পেসাররা। যেখানে ইবাদত হোসেন ২টি, তাসকিন আহমেদ ৩টি, হাসান মাহমুদ ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন। সেদিন মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। যা তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেরা বোলিং ফিগার। বাংলাদেশের পেসারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়ার দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর ডিসেম্বরে। নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৯ উইকেটের জয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার ও শরিফুল ইসলাম। আর একটি উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে এবারে দুই তরুন হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানা গড়লেন নতুন এক ইতিহাস। যা বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে আর দেখেনি কেউই।