পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের একটি গভীর পার্বত্য উপত্যকার উপরে ঝুলন্ত কেবল কারে আটকা পড়েছে ছয় শিশুসহ আটজন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বাত্তাগ্রাম জেলার আল্লাই তেহশিলে ঘটনাটি ঘটে। গতরাত সর্বশেষ খবরে জানা যায়, আটকা পড়া আটজনের মধ্যে ৫ শিশুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জানা যায়, ছয় স্কুলশিশু ও দুই স্থানীয় বাসিন্দাকে নিয়ে কেবল কারটি গন্তব্যের পৌঁছানোর আগেই মাঝপথে এর দুটি তার ছিঁড়ে যায়। তারপর থেকে কেবল কারটি আরোহীদের নিয়ে উপত্যকার ১২০০ ফুট উপরে ঝুলে আছে। তাদের উদ্ধারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কুইক রেসপন্স ফোর্সকে তলব করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডন নিউজ টেলিভিশন। খবর বিডিনিউজের। আল্লাইয়ের সহকারী কমিশনার জাওয়াদ হুসেইন জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ১৫টি মিনিট ধরে পরিস্থিতি জরিপ করে গেছে। আর রেসকিউ ১১২২ টিম কেবল কারের নিচে জাল পাতার চেষ্টা করছে। আল্লাই তেহশিলের চেয়ারম্যান মুফতি গুলামুল্লাহ জানিয়েছেন, পার্বত্য এলাকার লোকজন ওই এলাকায় থাকা কয়েকটি পাহাড়ি নদী পার হওয়ার জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত ওই কেবল কার ব্যবহার করে। তাদের চলাচলের জন্য রাস্তা বা সেতুর মত বিকল্প কিছু নেই। প্রাদেশিক দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা আব্দুল বাসিত খান জানিয়েছেন, কেবল কারটি এখন একটি মাত্র তারের ওপর নির্ভর করে ঝুলে আছে। কেবল কারে থাকা গুলফরাজ (২০) নামের এক আরোহী ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, আটকে পড়া শিশুদের সবার বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে একজন তিন ঘণ্টা ধরে অজ্ঞান হয়ে ছিল। তিনি জানান, তাদের কাছে কোনো খাবার বা পানি নেই। এলাকার লোকজন নিকটবর্তী পাহাড়ে ভিড় করেছে আর কাঁদছে। পানি খুব দরকার। মোবাইলের চার্জও ফুরিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ারুল হক কাকার আটকে পড়া শিশু ও অন্যদের অবিলম্বের উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রেডিও পাকিস্তান। স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ–এসএসজির কমান্ডোরা এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে তিনটি হেলিকপ্টার উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে। সেগুলোর দুইটি সেনাবাহিনীর এবং একটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর। অন্ধকার নেমে আসায় ফ্লাসলাইট এবং আলোর অন্যান্য ব্যবস্থার মাধ্যমে সেখানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
        











