পাকিস্তানে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার পাচ্ছেন শবনম

| শুক্রবার , ১৮ আগস্ট, ২০২৩ at ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম কাজ করেছেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সিনেমায়। অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে অর্জন করেছেন অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার। পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদান এতোটাই যে, সেখানে ‘মহানায়িকা’ও বলা হয় শবনমকে। এবার দেশটি নায়িকাকে দিতে যাচ্ছে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারাইমতিয়াজ পুরস্কার। যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতি সেবার জন্য দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সংবাদপত্র পাকিস্তান অবজারভার জানায়, মহানায়িকা শবনমকে পাকিস্তানের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হবে। আগামী বছর ২৩ মার্চ পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে জানান তারা। খবর বাংলানিউজের।

শৈশবেই বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শেখেন শবনম। একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে তিনি সুপরিচিতি লাভ করেন। শবনম চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছিলেন ১৯৫৮ সালে। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। এরপরের বছর উর্দু সিনেমা ‘চান্দা’য় অভিনয় করে পাকিস্তানে তারকাখ্যাতি পান তিনি।

শবনম বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করলেও দীর্ঘ সময় অভিনয় করেছেন পাকিস্তানের সিনেমায়। পাশাপাশি অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রেও। পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদান এতোটাই যে সেখানকার মহানায়িকা বলা হয়ে থাকে শবনমকে। তার অভিনয়ের গুণে দেশটির চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার নিগার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১৩ বার।

ষাটের দশকে তার অভিনীত ‘তালাশ’ সিনেমা পাকিস্তানে মুক্তি পেলে ওই সময়ের সর্বাপেক্ষা ব্যবসা সফল সিনেমার মর্যাদা লাভ করে। এছাড়া তার অভিনীত ‘আয়না’ সিনেমা পাকিস্তানের সিনেমা হলগুলোতে দীর্ঘদিন চলার রেকর্ড করে। ১৯৮৮ সালে পুনরায় ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন শবনম। আর নব্বইয়ের দশক থেকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস শুরু করেন। সবশেষ তাকে নায়ক মান্না অভিনীত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে দেখা গেছে। এরপর তাকে আর চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। বর্তমানে রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় বসবাস করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেতারের শিল্পী সম্মানী বাড়ানোর দাবিতে স্মারকলিপি
পরবর্তী নিবন্ধআজ শুক্রবার থেকে ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’