পাকিস্তানের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের কোয়েটা শহরের একটি রেল স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৪ জন নিহত ও ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। বেলুচিস্তান পুলিশের মহাপরিদর্শক মৌজ্জাম জাহ আনসারি রয়টার্সকে বলেছেন, রেল স্টেশনে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। টার্গেট ছিল ইনফ্যান্ট্রি স্কুলের সেনা সদস্যরা। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর বিডিনিউজের।
বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) রয়টার্সকে ইমেইলে বার্তায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। বেলুচিস্তানে সম্প্রতি বিচ্ছিন্নতাবাদী জাতিগত দাঙ্গা এবং উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের হামলা বেড়ে গেছে। রয়টার্স জানায়, কয়েক দশকের পুরনো বিদ্রোহ বেলুচিস্তানকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
রেলওয়ে কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় জাফর এঙপ্রেস ট্রেনটির পেশোয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসার আগেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের মুখপাত্র চিকিৎসক ওয়াসিম বেগ রয়টার্সকে বলেন, এখন পর্যন্ত আহত ৪৪ জন আহত ব্যাক্তিকে সিভিল হাসপাতালে আনা হয়েছে। কোয়েটার জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ বালোচ বলেছেন, এটি একটি আত্মঘাতী বোমা বলে মনে হচ্ছে। হামলার নির্দিষ্ট কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে। এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার দেখা ফুটেজ অনুযায়ী ঘটনাস্থলে ‘প্রায় ১০০ জন’ উপস্থিত ছিলেন। তাই মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
গত অগাস্টেও পুলিশ স্টেশন, রেললাইন এবং হাইওয়েতে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের হামলায় বেলুচিস্তান প্রদেশে অন্তত ৭৩ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের টার্গেট এখন নিরীহ মানুষ, শ্রমিক, শিশু ও নারী। যারা নিরীহ মানুষকে টার্গেট করছে তারা করুণার যোগ্য নয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বেলুচিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত এই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা মানুষের পর্যায় পড়ে না। ওরা পশুর চেয়েও অধম।