পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বন্যার ছোবল এত ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সেখানে একটি গ্রামে দাফনের মতো লোকও নেই। উত্তর পাকিস্তানে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩২১ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
এতথ্য জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ। এর নাম হলো বেশস্ত্রি গ্রাম। এটি প্রদেশের বুনের জেলার পীর বাবা সাহেব উপজেলায় পড়েছে। বেশন্ত্রি গ্রামে আকস্মিক বন্যার খবর পেয়ে মসজিদের স্থানীয় ইমাম মওলানা আব্দুল সামাদ অন্য গ্রামবাসীর মতো তার পরিবারকেও দ্রুত বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেন। তিনি তখন নফল নামাজ পড়ছিলেন। কিছুক্ষণ পর যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, তখন তিনি দেখতে পান আকস্মিক বন্যার পানির তোড়ে তার বাড়িসহ অনেকের বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
পাকিস্তানের সরকারি হিসাবে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে গত ৪৮ ঘণ্টায় বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটেছে, যাতে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। সেখানকার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩০৭ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন। পিডিএমএ–এর সর্বশেষ প্রতিবেদনের অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে ২৭৯ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী এবং ১৩ জন শিশু রয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, চার জন নারী এবং দুই জন শিশু রয়েছে।