পাকিস্তানে জ্বালানির দাম লিটারে ৩৫ টাকা বাড়ল

খাদ্যসঙ্কটের উপর ‘খাঁড়ার ঘা’

| সোমবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ দিন ধরেই ধুঁকছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। ডলারের নিরিখে তাদের মুদ্রার দাম পড়েই চলেছে। জ্বালানির অভাব দেখা দিয়েছে বলেও রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যেই দাম বাড়ল জ্বালানির। পাকিস্তানে পেট্রোল এবং ডিজেলের প্রতি লিটারে দাম বাড়ল ৩৫ টাকা। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক ধর জানিয়েছেন, জ্বালানি এবং গ্যাস নিয়ামক সংস্থার সুপারিশ মেনেই দাম বাড়ানো হয়েছে।

দাম যে বাড়তে পারে, সেই আশঙ্কা আগেই করেছিলেন দেশবাসী। তাই গত শনিবার থেকে পেট্রোল পাম্পের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন। সমাজমাধ্যমে নাগরিকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জ্বালানির দাম বাড়বে। প্রতি লিটারে ৪০ থেকে ৮০ টাকা বাড়তে পারে দাম। সেই আশঙ্কা সত্যি করে প্রতি লিটারে ৩৫ টাকা দাম বাড়ল। ডলারের নিরিখে পাকিস্তানি মুদ্রার দাম পড়ছে। বিদেশি মুদ্রার তহবিল কমতে কমতে ৩৬৮ কোটি ডলারে নেমেছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে বড়জোর আর তিন সপ্তাহ বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে পারবে পাকিস্তান। এরপর বন্ধ হতে পারে জ্বালানি আমদানি। ইতোমধ্যে খাদ্যসঙ্কট ভোগাচ্ছে পাকিস্তানিদের। আটার দাম আকাশছোঁয়া। ৩১ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে পরিস্থিতি দেখতে যাবেন আইএমএফ কর্মকর্তারা।

শাহবাজ শরিফ সরকারের আশা, তার পর আবার অনুদান দেবে আইএমএফ। ২০১৯ সালে পাকিস্তানকে ৬০০ কোটি ডলার অনুদান দিতে সম্মত হয় আইএমএফ। গত বছর বন্যার পর আরও ৭০০ কোটি টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করে। যদিও গত নভেম্বরে তা দেওয়া বন্ধ করে আইএমএফ। সংগঠনটি জানায়, পাক সরকার রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা প্রতিহতের দাবি ইরানের
পরবর্তী নিবন্ধকর বিতর্কে ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান বরখাস্ত