পাকিস্তানের মাটিতে ২০২৩ সালে দুই নাগরিককে ভারতীয় এজেন্টরা হত্যা করেছিল– ইসলামাবাদের এমন অভিযোগকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। খবর বাংলানিউজের। কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার কয়েক মাস পর পাকিস্তানের এ অভিযোগটি সামনে আসে। তবে অটোয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ভারত। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ বলেছে, দুটি হত্যাকাণ্ড এবং ভারতীয় এজেন্টদের মধ্যে সংযোগের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দাবিকে বিদ্বেষপূর্ণ ভারত বিরোধী প্রচারণা– বলে আখ্যা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে রাওয়ালকোট শহরে মোহাম্মদ রিয়াজ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন, আর অক্টোবরে শিয়ালকোট শহরে শহীদ লতিফ নিহত হন। তাদের একজন মসজিদে নামাজরত অবস্থায় এবং আরেকজন বাইরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি প্রকাশ করেনি এই লোকেরা কারা ছিলেন কিংবা কেন দিল্লি এজেন্ট দিয়ে তাদের হত্যা করল। পররাষ্ট্র সচিব মুহাম্মদ সাইরাস কাজি এসব হত্যাকাণ্ডকে অগ্রহণযোগ্য এবং সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। অর্থনৈতিক ও ফরেনসিক প্রমাণ আছে যে, ওই দুই হত্যাকাণ্ডে দুই ভারতীয় এজেন্টের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের জন্য ভারতকে অবশ্যই এর দায় নিতে হবে। ভারত সরাসরি পাকিস্তানের উত্থাপিত সুনির্দিষ্ট অভিযোগের উল্লেখ না করে দেশটিকে সন্ত্রাসবাদ, সংঘটিত অপরাধ এবং অবৈধ আন্তর্জাতিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল বলে অভিহিত করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারতসহ অন্যান্য অনেক দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে, সন্ত্রাস ও সহিংসতার নিজস্ব সংস্কৃতিই তাদের গ্রাস করবে।