পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে বিশ্বসেরা ইংল্যান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

১৯৯২ সালের মেলবোর্নকে ফিরিয়ে আনা হলোনা ২০২২ সালে। বাবর আজমও হতে পারলেননা ৩০ বছর আগের ইমরান খান। উল্টো ইংল্যান্ড যেন ২০১০ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজ বানিয়ে দিল ২০২২ সালের মেলবোর্নকে। সেবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। আর এবারে পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশে বসল ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ২০১২ এবং ২০১৬ সালে। তবে একদিক থেকে ইংল্যান্ড সবাইকে ছাড়িয়ে গেল। আর তা হচ্ছে ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ
জয়ের পর ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতল তারা। পরপর দুটি বিশ্বকাপ এখন তাদের শোকেসে। আর দুটি বিশ্বকাপেই জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। এই অল রাউন্ডারের দুর্দান্ত ব্যাটিং তার দেশকে টানা দুটি বিশ্বকাপ জেতালো। বাবর আজমের পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে ৫ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে আরেকটি বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড। এ নিয়ে তিনটি বিশ্ব্‌কাপ ট্রফি শোভা পাচ্ছে ইংলিশদের শোকেসে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দল ইংল্যান্ড। ডেথ গ্রুপ থেকে উঠে এসেছে ফাইনালে। তাও সেমিফাইনালে ভারতের মত দলকে ১০ উইকেটের লজ্জা উপহার দিয়ে। অপরদিকে পাকিস্তানের পথ চলা ছিল টানা দুই হারে। তারপরও আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত জায়গা করে নেয় ফাইনালে। তবে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স পরিষ্কার করে দিয়েছিল শিরোপা যাচ্ছে তাদের ঘরে। তারপরও প্রতিপক্ষ দলটি যখন পাকিস্তান তখন বাজি ধরার মত অনেকেই ছিলেন। কিন্তু আনেপ্রডিক্টেবল পাকিস্তান এবার আর পারলনা ইংলিশদের বাজির ঘোড়া থামাতে। কি দুর্দান্ত ক্রিকেটটাইনা খেলল ইংল্যান্ড। পাকিস্তানকে ১৩৭ রানে থামিয়ে দেওয়া। প্রথম ওভারে উইকেট হারানোর পরও একজন বেন স্টোকসের লড়াকু ইনিংস স্বপ্ন ছুয়ে দিল ইংল্যান্ডকে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ইংলিশরা দেখাল তাদের দারুন দাপট। পাকিস্তান খানিকটা প্রতিরোধ গড়েছে বটে। তবে সেটা মোটেও প্রয়োজনের মত ছিলনা। স্বল্প পুঁজি নিয়ে যেভাবে লড়াই করতে হয় ঠিক সেভাবে করতে পারেনি পাকিস্তান। তার উপর তুলনামূলক কঠিন ক্যাচ গুলো ধরতে না পারা, সহজ রান আউট মিস করা, এসবও যেন পাকিস্তানের হারের অন্যতম উপকরন হিসেবে কাজ করেছে। দিন শেষে ইংলিশদের দুর্দান্ত ক্রিকেটই হেসেছে শেষ হাসি। জস বাটলার ট্রফি উচিয়ে ধরে জানিয়ে দিলেন তারাই বিশ্বসেরা। এই ম্যাচে বেন স্টোকস ও যেন একটা পাপ মোছন করলেন। ২০১৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে তার করা শেষ ওভারে টানা ৪ ছক্কায় কার্লোস ব্র্যাথওয়েট জন্ম দিয়েছিলেন নতুন এক ইতিহাসের। সেদিনের সে ব্যর্থতা যেন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল স্টোকসকে। শেষ পর্যন্ত সেই স্টোকসই দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে আরো একবার প্রমান করণে তিনি এখন বিশ্ব সেরাদের কাতারে। ২০১৬ বিশ্বকাপের শেষ সময়ের খলনায়ক এবার বিশ্বজয়ী নায়ক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক দশকে তরুণদের মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্ত বেড়েছে দ্বিগুণ
পরবর্তী নিবন্ধসপ্তাহে দুদিন অফিস করেন প্রকল্প পরিচালক