পাকিস্তানের বর্ষসেরা ক্রিকেটার রিজওয়ান

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ

স্বপ্নের মতো কেটেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ২০২১ সাল। বছর জুড়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য এবার পেলেন তার স্বীকৃতি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। বর্ষসেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে ছিলেন হাসান আলি, বাবর আজম ও শাহিন শাহ আফ্রিদিও। তাদেরকে পেছনে ফেলে পুরস্কারটি নিজের করে নেন ২৯ বছর বয়সী রিজওয়ান। হাসান বছর সেরা টেস্ট ক্রিকেটার ও বাবর বছর সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের সম্মাননা পেয়েছেন। গতকাল শুক্রবার গত বছরের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে এই ঘোষণা দেয় পিসিবি। গত বছর ৯ টেস্ট খেলে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে ৪৫৫ রান করেন রিজওয়ান। ওয়ানডেতে এক ফিফটিতে করেন ১৩৪। ব্যাট হাতে রিজওয়ান সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন টি-টোয়েন্টিতে। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে করেন এক হাজার রান (১৩২৬)। স্বীকৃত সব টি-টোয়েন্টি মিলিয়েও করেন রেকর্ড। এই সংস্করণে এক বছরে দুই হাজার রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যানও তিনি। বছর শেষ করেন ২ হাজার ৩৬ রান করে। উইকেটের পেছনের দায়িত্বও তিনি পালন করেন দারুণ দক্ষতায়। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৫৪ ডিসমিসাল তার। বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন রিজওয়ান। গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের একমাত্র টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করে বছর শুরু হয় তার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রিজওয়ান বলেছেন আমার মনে হয়, সংক্ষিপ্ত সংস্করণে আমার অসাধারণ একটি বছর কেটেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বছরের শুরুতে সেঞ্চুরি করার পর থেকে সেই আত্মবিশ্বাস ও ছন্দ বছরের বাকি সময় ধরে রাখতে পেরেছি। দুই বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে দুর্দান্ত ছিলেন হাসান। ৮ টেস্টে নেন ৪১ উইকেট। যেখানে পাঁচবার ইনিংসে ছিল ৫ উইকেট ও ম্যাচে একবার ১০ উইকেট। বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়ে এই পেসার তুলে ধরেন তার অনুভূতি। চোটের কারণে ২০২০ সালে খেলতে না পারার পর আমার জন্য গত বছর ছিল ফিরে আসার বছর। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফলভাবে ফিরে আসতে সক্ষমই হইনি, ২০২১ সালে দলের সামগ্রিক সাফল্যেও ভূমিকা রেখেছি। ওয়ানডেতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বাবরকে এনে দিয়েছে এই সংস্করণের বছর সেরার স্বীকৃতি। ২০২১ সালে ৬ ওয়ানডে খেলে ২ সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ৪০৫ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর ম্যাচে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফ্রিদি নির্বাচিত হয়েছেন ‘ইম্প্যাক্টফুল পারফর্মার অব দ্যা ইয়ার। গত বছর ৪৫ উইকেট নিয়ে উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। এর মধ্যে ১৫ উইকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে ৯৩৫ রান, পাকিস্তান কাপে ৪৮৭ রান ও ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে ৪৪৭ রান করা সাহিবজাদা ফারহান জিতেছেন ‘ডমেস্টিক ক্রিকেটার অব দ্যা ইয়ার’ এর পুরস্কার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের এই জয় বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য ভালো বললেন টেলর
পরবর্তী নিবন্ধচান্দগাঁও কাউন্সিলর কাপ ফুটবলে হাসান মাহমুদ স্মৃতি সংসদের জয়