পাকিস্তানের কাছে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের

সুপার ফোর

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

এশিয়া কাপে হার দিয়ে বাংলাদেশের সুপার ফোর শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে সহজেই ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৬৩ বল হাতে রেখেই জয় পায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পরই দলের সম্ভাবনা বোঝা গিয়েছিল। তবুও বোলাররা লড়েছেন তাদের সবটুকু দিয়ে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। শেষ পর্যন্ত লড়েও বোলাররা তিনটির বেশি উইকেট নিতে পারেননি।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে হতাশার। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। নাসিম শাহর বলে ক্যাচ দেন ফখর জামানের হাতে। জ্বরের কারণে আগের দুই ম্যাচে না থাকা লিটন দাস একাদশে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায়। শুরুটা ভাল করেও পারেননি বেশিদূর এগুতে। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেন ১৩ বলে ১৬ রান। মেরেছেন ৪টি চার। নাঈম শেখও কিছু শটে আত্মবিশ্বাসের ছাপ রাখছিলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও বড় করতে পারেননি ইনিংস।

২৫ বলে ২০ রান করে হারিস রউফের বলে পুল করতে গিয়ে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। এরপর হারিস রউফের গতিতে পরাস্ত হন তাওহীদ হৃদয়ও। ৯ বলে ২ রান করে তিনি হয়ে যান বোল্ড। পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে ধীরে ধীরে টেনে তোলার চেষ্ট করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। দুজনই দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। আশাও বাড়ছিল বড় রানের। এর মধ্যে একশ রানের জুটি গড়ার পথে সাকিব তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপরই যেন বিভ্রান্ত হয়ে যান সাকিব। ফাহিম আশরাফের বল পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন তিনি। ৫৭ বলে ৫৩ রান করে ফিরেন সাকিব। দলের বিপদ এরপর কেবল বেড়েছে। শামীম পাটোয়ারী ছক্কা মেরে শুরু করেও ফিরেছেন ইফতেখার আহমেদের বলে ২৩ বলে ১৬ রান করে। লড়াই করতে থাকা মুশফিকুর রহিমও ইনিংসের শেষটা করতে পারেননি ঠিকভাবে।

৮৭ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে মুশফিক ফিরেন রউফের বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর পাকিস্তানের পেসারদের গতির কাছে হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশের পরের ব্যাটারদের। আফিফ হোসেন ফিরেছেন ১১ বলে ১২ রান করে। আর বাংলাদেশ থামে ১৯৩ রানে। পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ নিয়েছেন চার উইকেট। নাসিম শাহ তিনটি এবং ও শাহিন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন একটি উইকেট।

১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানও খুব একটা স্বস্তিতে এগুতে পারছিল না। ৩৫ রানের মাথায় ২০ রান করা ফখর জামানকে ফেরান শরীফুল। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গী হয় দুর্ভাগ্য। শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের বলে অল্পের জন্য আউটসাইড লেগ হওয়ায় দুটি এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়, শেষ হয়ে যায় রিভিউও। দুবারই বাঁচেন ইমাম উল হক। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তাকে আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু এবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ইমাম। ইমাম উল হকের সাথে অধিনায়ক বাবর আজম পারেননি বেশিদূর এগুতে। ৩৯ রান যোগ করেন দুজন। ২২ বলে ১৭ রান করা বাবরকে বোল্ড করেন তাসকিন।

তিনি তার পুরো স্পেলজুড়েই করেন দুর্দান্ত বোলিং। কিন্তু ইমামউলহকের উইকেট যতক্ষণে যায়, ততক্ষণে ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে গেছে বাংলাদেশের। ৩৩তম ওভারের পঞ্চম বলে গিয়ে আউট হন ইমাম। তখন পাকিস্তানের রান ১৫৯। ৮৪ বলে ৭৮ রান করা ইমামকে বোল্ড করেন মিরাজ। দলকে বাকি পথ টেনে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান। ৭৯ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানের হারিস রউফ। বাংলাদেশের পরের খেলা শ্রীলংকার সাথে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাজেকে বেড়াতে যাওয়ার পথে অপহৃত ঢাবি ছাত্রী
পরবর্তী নিবন্ধঅপহরণের দুদিন পর শিশুটিকে রেখে গেল ষোলশহরে