পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরের কাছে বড় ধরনের এক বিস্ফোরণে চীনের দুই নাগরিকসহ তিনজন নিহত ও আরও অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। সোমবার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার রাতে একটি ইমেপ্রাভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণের ফলে ঘটনা ঘটে। খবর বিডিনিউজের।
একটি তেলবাহী লরির সঙ্গে আরেকটি গাড়ির সংঘর্ষের মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তারা। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি এতই শক্তিশালী ছিল যে পুরো করাচি শহর থেকে এর শব্দ শোনা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আসা ভিডিও ফুটেজে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
বিস্ফোরণের ধরন নিশ্চিত হতে বোমা নিষ্ক্িরয়াকারী স্কোয়াড কাজ করছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাকিস্তানের নিষিদ্ধ ঘোষিত বালুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) মাজিদ ব্রিগেড এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংবাদপত্রগুলোর কাছে পাঠানো এক ইমেল বিবৃতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা প্রকৌশলীসহ চীনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে গাড়িবাহিত আইডি দিয়ে বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে।
পাকিস্তানে থাকা চীন দূতাবাস সোমবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় তাদের দুই নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পোর্ট কাসিম ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডের চীনা কর্মীদের বহনকারী গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা করেছে চীনা দূতাবাস। পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দ ডন ডটমককে জানিয়েছেন, নিহত দুই চীনা নাগরিক ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ জিন্না পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে (জেপিএমসি) আনা হয়েছে। সেখানে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ও প্রাসঙ্গিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ১০ জনকে জেপিএমসিতে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। আহতদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের উদ্ধারকারী বাহিনী রেসক্যু ১১২২’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণে অন্তত সাতটি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে। পাঁচটি গাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাহিনী বন্দরে প্রবেশপথ ও বহির্গমন পথগুলো বন্ধ করে দিয়ে এলাকাটি ঘিরে রেখেছিল, পরে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাড়ি চলাচলের জন্য পথগুলো খুলে দেয় তারা।