পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রবাসীকে খুন, চট্টগ্রামে গ্রেফতার ১

| রবিবার , ৯ মার্চ, ২০২৫ at ১:০৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বোনের শ্বশুর বাড়িতে প্রবাসী মোঃ মফিজ প্রকাশ মহিউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ শেখ ফরিদ প্রকাশ শরীফ (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

রবিবার (৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে র‌্যাব। গতকাল নগরীর পাহাড়তলী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে বলে সেখানে জানানো হয়।

গ্রেফতার শেখ ফরিদ প্রকাশ শরিফ চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকার মিছিল আহমেদের ছেলে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত ভিকটিম মোঃ মফিজ প্রকাশ মহিউদ্দিন (৪৫) দীর্ঘদিন যাবত ওমান প্রবাসী ছিলেন এবং কিছু দিন পূর্বে দেশে ফিরে আসেন। প্রায় ০৪ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পার্শ্বর্বতী এলাকার জৈনক শেখ ফরিদের সাথে ভিকটিমের বোনের বিবাহ হয়।

বিবাহের পর হতে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলাহ সৃষ্টি হয়। নিহত ভিকটিম মোঃ মফিজ প্রকাশ মহিউদ্দিন বোনের সংসারে সুখের কথা চিন্তা করে প্রবাসে অবস্থানকালে বোন জামাই শেখ ফরিদ উদ্দিনকে ব্যবসার জন্য ১৫ লাখ টাকা প্রদান করেন।

পরর্বতীতে ভিকটিম মহিউদ্দিন দেশে অবস্থানকালে তার বোনের কাছে প্রদানকৃত ১৫ লাখ টাকা ফেরত চান। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের বোন তার স্বামী শেখ ফরিদ উদ্দিনকে টাকা ফেরত প্রদানে বিষয়ে অবহিত করলে শেখ ফরিদ উদ্দিন এবং তার পরিবার টাকা ফেরত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়।

ভিকটিমের বোন টাকা ফেরত প্রদানে অস্বীকৃতির কথা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ভাইকে অবহিত করলে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত ভিকটিম তার বোনর শ্বশুর বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকায় হাজির হয়ে তার প্রদানকৃত ১৫ লাখ টাকা ফেরত প্রধানে অস্বীকৃতির কথা জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বোন জামাই শেখ ফরিদ এবং তার পরিবারে অন্যান্য লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।

বকাবিতন্ডার এক পর্যায়ে বোন জামাই শেখ ফরিদ এবং তার পরিবারে অন্যান্য লোকজন উত্তোজিত হয়ে প্রবাসী মহিউদ্দিনকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরতর রক্তাক্ত জখম করে। পরর্বতীতে স্থানীয় লোকজন এবং ভিকটিমের বোন ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

উক্ত ঘটনায় নিহত ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার জোরাগঞ্জ থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতানাম ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলার দায়ের করা হলে মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে।

গোয়েন্দা নজরদারির এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামি ঘাতক বোন জামাই শেখ ফরিদ চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলী এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি শেখ ফরিদ প্রকাশ শরিফ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে দুই দফা দাবিতে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
পরবর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় মেয়ের জামাইয়ের হাতে শাশুড়ি খুন