মীরসরাইয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় রাজা মিয়া (৬৫) নামে এক দোকানিকে কুপিয়ে জখম করেছে এক যুবক। এ সময় তিন উদ্ধারকারীকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পুলিশ সাইদুল ইসলাম রাসেল নামের ওই যুবককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে মীরসরাই পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম মঘাদিয়া এলাকায় রাজা মিয়ার দোকানে এ ঘটনা ঘটে। রাজা মিয়া ওই এলাকার মরহুম আমিনুর রহমানের ছেলে। আহত অন্যরা হলেন, একই এলাকার জামাল উল্লার ছেলে ফখরুল ইসলাম (৪২), মরহুম মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ওবায়দুল্লাহ হাসিব (১৩) ও একজন বেকারির কর্মচারী মো. ইউসুফ (৩৫)।
রাজা মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর তিনজন মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করেছে। রাসেল একই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে। রাজা মিয়ার ভাতিজা সাবেদুর রহমান বলেন, ‘গ্রামে আমার জেঠার (বাবার বড় ভাই) একটি মুদি দোকান রয়েছে। দোকান থেকে বাজার বাবদ রাসেলের কাছে রাজা মিয়ার প্রায় ১০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। শনিবার বিকেলে তার কাছে বকেয়া টাকাগুলো চাওয়া হয়। এ কারণে রোববার সকালে দোকানে ঢুকে ক্যাশে বসা অবস্থায় আমার জেঠাকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে রাসেল। ওই সময় দৌঁড়ে দোকানের বাইরে গেলে রাস্তার ওপর ফেলে ছুরি দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করে। তাকে বাঁচাতে আসায় আরো তিনজনকে কুপিয়েছে রাসেল।’ তিনি আরো বলেন, ‘পুরো দোকান রক্তে লাল হয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাঁচার সম্ভাবনা কম।’ মীরসরাই পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আল ফাইয়াত সংগ্রাম বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। বকেয়া টাকা চাওয়ায় এভাবে জবাই করে দেয়া, ভাবতে অবাক লাগছে।’ পুলিশের হাতে আটক সাইদুল ইসলাম রাসেলের মা পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে গত কয়েক দিন ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। গতকাল রাতে তার বোনকেও কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করে।’
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।