পাইপলাইনে ত্রুটির কারণে মহেশখালীর গভীর সমুদ্র থেকে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের (এসপিএম) মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাইপলাইনের বদলে আগের মতো লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে তেল খালাসের উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল পরিশোধনকারী কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। খবর বিডিনিউজের।
ইআরএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান জানান, পাইপলাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় গত সোমবার বিকাল থেকে তেল খালাস স্থগিত রাখা হয়।
ওই দিন সকালে কঙবাজারের মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে স্থাপিত এসপিএম ব্যবহার করে সৌদি আরবের তেলবাহী জাহাজ এমটি হোরে থেকে অপরিশোধিত তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে খালাস শুরু হয়েছিল। এর মাত্র ৫ ঘণ্টা বাদে এসপিএমের সঙ্গে জাহাজের সংযোগকারী পাইপলাইনে সমস্যা দেখা দিলে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ইআরএল এমডি লোকমান বলেন, পাইপলাইনে কী সমস্যা হয়েছে তা নির্ণয় এবং ত্রুটি সারানোর জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ স্থগিত হওয়ায় এমটি হোরে থেকে লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাস করে রিফাইনারিতে নেওয়া হবে।
পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের জন্য সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার টন ক্রুড অয়েল নিয়ে মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে স্থাপিত এসপিএমের কাছে গত ২৪ জুন পৌঁছায় এমটি হোরে। পরদিন পরীক্ষমূলক কমিশনিং শুরুর কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বড় জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহ শুরু করা যায়নি।
ইআরএলের এমডি জানান, ওই তেলবাহী জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সাত–আট হাজার টনের মতো তেল সরবরাহ হয়েছিল। এখন লাইটারেজের মাধ্যমে বাকি তেল রিফাইনারিতে নেওয়া হবে। এজন্য শিপিং কর্পোরেশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।