পাইকারিতে দাম কমলেও প্রভাব নেই খুচরা বাজারে

ভোজ্য তেল

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ জুন, ২০২১ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

পাইকারিতে অবশেষে কমছে ভোজ্য তেলের বাজার। দীর্ঘ সময় উত্তাপ ছড়ানোর পর দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ভোক্তাদের মাঝে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দরপতনের কারণে পাইকারিতে দাম কমতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাম তেল এবং সয়াবিন তেলের মণপ্রতি বুকিং দর কমেছে ২০০ ডলার পর্যন্ত। যার প্রভাবে পাইকারিতে দুই ধরনের তেলের দাম মণে কমেছে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে পাইকারিতে দরপতন হলেও খুচরা বাজারে তেল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। বাজারের মনিটরিং দুর্বলতার সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছেন না বলে দাবি করছেন ভোক্তারা।
গতকাল খাতুনগঞ্জের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ টাকায়। বর্তমানে মণে ৫০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ টাকায়। এছাড়া সয়াবিন তেলের মণ এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে ৩০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন তেল ব্যবসায়ী জানান, ভোজ্যতেল পুরোপুুরি আমদানি নির্ভর পণ্য। আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বাড়লে স্থানীয় বাজারে বাড়বে, দাম কমলে স্থানীয় বাজারে কমে যাবে। তাই আমাদের দেশে সিন্ডিকেট করে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু দেখা যায়, তেলের দাম বাড়লেই সিন্ডিকেটের কথা উঠে আসে। মূলত যেসব দেশে সয়াবিন এবং তেল উৎপাদন হয় সেখানে বৈরি আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কম হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এর ফলে দামও বেড়েছে। এছাড়া করোনাকালীন পণ্য সরবরাহেরও অসুবিধা ছিল।
খাতুনগঞ্জের তেল ব্যবসায়ী এবং আরএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের দেশে পাম তেল অমদানি হয় ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে। এছাড়া সয়াবিন আমদানি হয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। ওইসব অঞ্চলে পণ্যের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায়, বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে দরবৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী তেলের দাম ছড়া ছিল। এখন পাম তেলের বুকিং দর ১ হাজার ২০০ ডলার থেকে ১ হাজার ২০ ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া সয়াবিন তেলের বুকিং দর ১ হাজার ৪০০ ডলার থেকে ২০০ ডলার কমে গিয়ে ১ হাজার ২০ ডলার হয়েছে। তাই পাইকারিতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উভয় তেলের দাম সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা কমেছে।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দরপতন হয়েছে। কোনো ভোগ্যপণ্যের দামই স্থিতিশীল নয়। উঠানামা করাটাই ভোগ্যপণ্যের ধর্ম। বাজার চাহিদা বেড়ে গেলে দাম বেড়ে যাবে। চাহিদা কমে গেলে দাম কমে যাবে। গত এক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী। এর প্রভাবে পাইকারি বাজারে দাম কমছে। তবে খুচরা বাজারে এর কোনো ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে হজ ওমরাহ বিল পাস
পরবর্তী নিবন্ধদুধের পাশাপাশি তিনি ইয়াবাও বিক্রি করেন