পাইকারীতে কমছে চিনির বাজার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে চিনির দাম কমেছে মণপ্রতি ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত চিনির মজুদ আছে। বিপরীতে বেচাবিক্রি কমে গেছে। যার প্রভাবে পাইকারী বাজারে চিনির দাম কমছে।
এদিকে পাইকারীতে কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো ধরনের প্রভাব নেই। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনির বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। যা পাইকারী বাজারের তুলনায় ১০ টাকা বেশি।
খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পাইকারীতে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩৭ কেজি) চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯২০ টাকা। গত এক সপ্তাহ সপ্তাহ আগে যা ছিল ৩ হাজার ৯৭০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন চিনি ব্যবসায়ী জানান, খাতুনগঞ্জের বাজারে পণ্য বেচাকেনা ও লেনদেনে যুগ যুগ ধরে কিছু প্রথা চালু আছে। নিজেদের সুবিধার অনেক প্রথা আছে যেগুলো আবার আইনগতভাবেও স্বীকৃত নয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) স্লিপ’। চিনি কিংবা অন্য কোনো পণ্য কেনাবেচায় ডিও বেচাকেনার মাধ্যমে বিভিন্ন আগাম লেনদেন হচ্ছে। দেখা যায়, পণ্য হাতে না পেলেও ওই ওই স্লিপটিই বেচাকেনা হচ্ছে।
কোনো কোম্পানি বাজার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের ডিও কিনে নেয়। যে দরে ডিও কেনা হয়, তার বাজার দর যদি বেড়ে যায়, তখন পণ্যটি ডেলিভারি দিতে তারা গড়িমসি করে। আবার দেখা যায়, কোম্পানির পণ্যই আসেনি কিন্তু ডিও কিনে রেখেছেন অনেক বেশি। এর ফলেও কোম্পানি বাজারে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারে না। ফলে এসব পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এক্ষেত্রে চিনির ডিও বেচাকেনা বেশি হয়।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থিতিশীল আছে। তবে বর্তমানে বাজারে বেচাবিক্রি কম। ফলে দামও কমতির দিকে রয়েছে।
অপরদিকে গতকাল নগরীর কাজীর দেউরি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা দরে। খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, চিনির দাম স্থিতিশীল আছে। শুনেছি, পাইকারীতে চিনির দাম কিছুটা কমেছে। তবে আমরা এক বস্তা ফুরিয়ে গেলে আরেক বস্তা এনে বিক্রি করি। এগুলো আগের দরে কেনা। তাই আমাদের আগের দর হিসেব করে চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে।