পাইকারিতে আরো কমলো পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে, এই আশঙ্কায় পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে রয়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এখনো চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তারা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে খুচরা দোকানে কোনো অভিযান নাই। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৫–৭০ টাকায়। গত এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা পর্যন্ত। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি–১ (তাহেরপুরী), বারি–২ (রবি মৌসুম), বারি–৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে। চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম দৈনিক আজাদীকে বলেন, সরকার দেশের কৃষক বাঁচাতে গত ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আইপি বন্ধ করে দেয়। ফলে ধাপে ধাপে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তবে সরকার আবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে পারে শোনা যাচ্ছে। ফলে দাম নিম্নমুখী। এছাড়া বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। কোনো ধরনের সংকটও নাই।
কাজীর দেউড়ি এলাকার খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের দোকানে কয়েক ক্যাটাগরির দেশীয় পেঁয়াজ আছে। এরমধ্যে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮৫–৯০ টাকায়।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন কিছু নয়। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করেছেন এটি সহজে বুঝা যায়। কারণ যখন সরকার আবার ভারত থেকে প্রয়োজনে আমদানির অনুমতি দিবে জানালো, সাথে সাথে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ দাম কমিয়ে দিয়েছে। তাই প্রশাসনকে বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে অভিযান চালাতে হবে। পাইকারী বাজারে অনেক সময় দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম সকালের এক দাম, বিকেলে আরেক দামে বিক্রি হচ্ছে।












