অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুরেশ চন্দ্র শীল মারা গেছেন দশ দিন আগে। তখনো তার স্ত্রী মৃণালিনী শীল (৬৫) জানতেন না, বিধবা হওয়ার দশ দিনের মাথায় তার জন্য অপেক্ষা করছে ঘোর অমানিশা। দশ দিনের মাথায় একে একে হারিয়েছেন পাঁচ পুত্র সন্তানকে। আগামীকাল স্বামীর শ্রাদ্ধ। তার আগের দিন গতকাল হারাতে হলো একসঙ্গে পাঁচ সন্তানকে। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দেখা যায়, বাড়ির সামনে উঠানে স্বামীর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের জন্য নির্মিত প্যান্ডেলের নিচে একের পর এক লাশের সারি। লাশ ঘিরে চলছে স্ত্রী, সন্তানসহ স্বজনদের আহাজারি। আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।
মালুমঘাট স্টেশনের কাছে রিজার্ভ বনভূমিতে গড়ে ওঠা হাসিনা পাড়ায় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কিছু পরিবারের বসবাস। মৃণালিনীদের বাড়ির পাশে মুসলিম পরিবারের সদস্যরাও লাশের এমন সারি দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তারাও সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। একসঙ্গে পরিবারটির এত সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন সবাই। এক পাশে নির্বাক বসে আছেন পাঁচ সন্তান হারানো মৃণালিনী শীল। এদিকে পরিবার, প্রতিবেশী ও স্বজনদের পক্ষ থেকে গতকাল বিকালে একসঙ্গে পাঁচ ভাইকে শ্মশানে দাহ করার প্রক্রিয়া চলছিল।
