বাঁশখালীতে অপহরণের পর বিক্রি করে দেওয়া ৫ মাস বয়সী শিশু মো. আদিয়াতকে ১৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর অপহৃত শিশুটিকে তার বাবা–মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ছনুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলজ্জানি বড় বাড়ি এলাকার মনজুর আলমের ৫ মাস বয়সী শিশুসন্তান আদিয়াতকে অপহরণের পর ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় অপহরণকারী মো. রিদুয়ান (৩২)। শিশুকে কিনে নেয় চন্দনাইশের মুরাগনগর এলাকার রোবাইদা সুলতানা তানজু (২৮)। পরে অপহৃত শিশুর পিতার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই নারীকে গ্রেপ্তার এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বাঁশখালী থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। এতে সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ বিস্তারিত তথ্য দেন। এ সময় বাঁশখালী থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ জানায়, ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে নেওয়া চন্দনাইশের মুরাদাবাদ ৪নং ওয়ার্ড এলাকার নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী রোবাইদা সুলতানা তানজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অপহরণকারী মূল আসামি বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলজ্জানি বড়বাড়ি এলাকার মো. গুরা মিয়ার পুত্র মো. রিদুয়ানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, গত সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে মনজুর আলম তার একমাত্র পুত্র আদিয়াতকে নিয়ে বাড়ির উঠানে বসেছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী মো. রিদুয়ান শিশুটিকে কোলে নেয়। তখন শিশুর পিতা তার সন্তানকে মা কুলছুমার কাছে দেওয়ার কথা বলে পাশে তার চায়ের দোকানে চলে যায়। এক ঘণ্টা পর দোকান থেকে এসে তিনি দেখেন রিদুয়ান তার সন্তানকে মায়ের কাছে দেয়নি। রিদুয়ানকে মোবাইলে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পেলে তাদের সন্দেহ হয়। পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়–স্বজনের কাছে খোঁজ করার পর থানা মামলা করেন শিশুর পিতা। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চন্দনাইশ থেকে আদিয়াতকে উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটিকে অপহরণকারীর থেকে কিনে নেওয়া রোবাইদা সুলতানা তানজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, একমাত্র শিশু সন্তান মো. আদিয়াতকে ফিরে পেয়ে বাবা মনজুর আলম ও মা কুলছুমা বেগম সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।