পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৪ জুন, ২০২৫ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর কোর্টহিলের অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাশের জামিন নাকচ (নামঞ্জুর) করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে চিন্ময়ের আইনজীবীরা উক্ত পাঁচ মামলায় তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাশের বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। দণ্ডবিধির ১২০()/১২৪()/১৫৩()১০৯/৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়। নগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া উক্ত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তথা ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে সেদিন একটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ যখন চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাবে, তখন আগে থেকে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া তার অনুসারীরা প্রিজন ভ্যানের গতিরোধ করেন এবং প্রিজন ভ্যানের সামনে পিছে শুয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা পর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজন ভ্যানকে কারাগারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা আদালত পাড়ায় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর করে। শুরু হয় সংঘাত। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এরই মধ্যে আদালতের প্রবেশ গেটের অদূরে মেথরপট্টি এলাকায় খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। উপর্যপুরি কুপিয়ে খুনিরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। আদালত পাড়ায় সংঘটিত এসব ঘটনায় মোট সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে কোতোয়ালী থানায় ৬টি ও আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। পুলিশ জানায়, কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ৭৯ জনের নামে তিনটি, আলিফের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে একটি (হত্যা মামলা) ও তার ভাই বাদী হয়ে ১১৬ জনের নামে একটি ও মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ী ২৯ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া মো. এনামুল হক নামের একজন বাদী হয়ে ১৬৪ জনের নামে আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত সেটি কোতোয়ালী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, পুলিশের দায়ের করা তিনটি এবং আলিফের ভাই ও বাবার করা পৃথক দুটি মামলায় চিন্ময়ের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করে দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘ছিনতাইয়ের’ পর মারধর, মাতারবাড়িতে বস্তাবন্দি আহত যুবক উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচলাইশে কারখানা থেকে চুরি হওয়া কাপড় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫