পাঁচ বছর ভোটে নিষিদ্ধ ইমরান খান

| শনিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

রাষ্ট্রীয় উপহার তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বেঞ্চ গতকাল শুক্রবার ইসলামাবাদে এই রায় ঘোষণা করে। খবর বিডিনিউজের।

ডন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের এই রায়ের ফলে পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, দেশের মজলিস-ই-শুরার (পার্লামেন্ট) পাশাপাশি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনেও ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকল না ইমরান খানের সামনে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ওই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা ইসলামাবাদ হাই কোর্টে যাবে। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে নামারও আহ্বান জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

অগাস্টে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএলএন) একজন সদস্য ইমরানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় তোষাখানা থেকে বিদেশি বিশিষ্টজনদের দেওয়া উপহার কিনলেও নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে সেগুলোর উল্লেখ করেননি। রায়ের লিখিত অনুলিপির অপেক্ষায় থাকা আইন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই রায়ের মাধ্যমে চলতি জাতীয় পরিষদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এটি হলে জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ হারাবেন তিনি এবং তার শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে।

রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পিটিআইয়ের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে ‘বিব্রতকর’ ও পাকিস্তানের জনগণের ‘মুখে চপেটাঘাত’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই রায় শুধু ইমরান খানের ওপর হামলা নয়, এটি পাকিস্তানের সংবিধান ও জনগণের ওপরও একটি হামলা।
এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানো ইমরান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি ও তার দলের বিরুদ্ধে আগে থেকে পুষে রাখা বিদ্বেষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা এ পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহিসাব শাখা তিন মাস তালাবদ্ধ
পরবর্তী নিবন্ধপিকআপ সরাতে বলায় খুন