মহামারী কোভিড-১৯ সংক্রমণের এই সময়ে জনসাধারণের ভিন্নমাত্রার অভিজ্ঞতার আলোকে নির্মিত হয়েছে পাঁচ শর্টফিল্ম। তারকাবহুল এই শর্টফিল্মগুলো মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘বাঘ বন্দি সিংহ বন্দি’ নামের সিরিজ হিসেবে। এখানে করোনাকালীন বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা, জীবিকা, সামাজিক অবস্থান, শারীরিক ও মানসিক বির্পযয়ের নতুন অভিজ্ঞতাগুলো উঠে আসবে। এগুলো নির্মাণ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন চলচ্চিত্র পরিচালক। প্রায় ৩০ মিনিট ব্যাপ্তির এই গল্পগুলো লিখেছেনও তারা। এই সময়ের অভিজ্ঞ শিল্পীরা শর্টফিল্মগুলোতে অভিনয় করেছেন। নির্মাতারা হলেন নুরুল আলম আতিক, অমিতাভ রেজা, অনিমেষ আইচ, গিয়াসউদ্দিন সেলিম ও আবু শাহেদ ইমন।
সমাজের ভালো-মন্দ নানা কর্মকান্ড এবং পারিবারিক সর্ম্পকগুলো করোনাভাইরাসে প্রভাবিত হওয়ার চিত্র তুলে ধরে নির্মিত হয়েছে ‘নিষিদ্ধ বাসর’ শর্টফিল্মটি। এটি নির্মাণ করেছেন নুরুল আলম আতিক। ‘আয়নাবাজি’খ্যাত নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত সিরিজের ‘এসো বসে একসাথে খাই’ শর্টফিল্মটিতে লকডাউনে পরিবারের সদস্যদের মানসিক পরিবর্তনকে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে দেখা যাবে, এ সময়ে ঢিলেঢালা পারিবারিক বন্ধন একদিকে যেমন মজবুত হয়েছে, তেমনি অতি আপনজনও দূরে চলে গেছে।
অনিমেষ আইচ মহামারির এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা ডাক্তারদের বেদনার গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন সিরিজের আরেকটি শর্টফিল্ম ‘মুখ আসমান’। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নির্মম মানসিকতার পরিচয় দিয়ে সামাজিকভাবে দূরে সরিয়ে দেয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিরিজের ‘যাত্রী’ শর্টফিল্মটি। নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মিত এই শর্টফিল্মে আরো পাওয়া যাবে, কাছের মানুষদের থেকে বিতাড়িত হলেও আক্রান্তদের পাশে এসে দাঁড়ানো সম্পূর্ণ অপরিচিতজনদের মানবিক হৃদয়ের পরিচয়।
গল্পগুলোর মধ্যে ‘আড়াই মন স্বপ্ন’ শর্টফিল্মটি পরিচালনা করেছেন আবু শাহেদ ইমন। এখানে এই সংকট চলাকালে সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের চরম আর্থিক সংকটকে তুলে ধরেছেন তিনি। একইসঙ্গে সামাজিক বিভিন্ন অনিয়ম তাদের এ সংকটকে যে আরো গভীর করেছে সেটাও দেখিয়েছেন। প্রতিটি শর্টফিল্ম নির্মাণের সময় সামাজিক দুরত্বের নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে বিনজ-এর প্লাটফর্মে সিরিজিটি দেখতে পাবেন দর্শকরা।