নগরীর চমেক হাসপাতালের সামনে কিডনি রোগী মায়ের ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ও পরে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার সাবেক ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার ও একই থানার সাবেক উপ–পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি পিবিআইকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা মামলাটি পুনরায় তদন্ত করবেন। বাদীর আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত শেষে সিআইডি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই প্রতিবেদনে নারাজি দিয়েছিলাম। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমাদের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করি। সেই প্রেক্ষিতে গত বছর আদালত আবেদন শুনানির জন্য অপেক্ষমান রাখেন। পরে শুনানির জন্য আবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠান। সেখানে শুনানি শেষে বাদীর নারাজি আবেদন গ্রহণ করে ওসি নাজিম এবং এসআই আজিজের বিরুদ্ধে করা মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তার মাধ্যমে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোগী ও তাদের স্বজনদের করা আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।
মানবিক এ আন্দোলন থেকে মোস্তাকিম নামে একজনকে মারতে মারতে গ্রেপ্তার করেন ওসি নাজিম। পরে পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মোস্তাকিমসহ ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় মোস্তাকিমকে কারাগারে পাঠানো হয়। জামিনে মুক্ত হয়ে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুননেছার আদালতে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন মোস্তাকিম।