কক্সবাজারের চকরিয়ার মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার নিয়ন্ত্রণাধীন পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তথা নৌকা প্রতীক পেতে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল এহেছান লিটনের বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে রবিউলের নাম না থাকলেও তিনি ‘অস্তিত্ববিহীন’ একটি কমিটি গঠন করে সেই কমিটির মাধ্যমে নিজেকে দলের একক প্রার্থী ঘোষণার রেজুলেশন তৈরির পর তা জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর জমা দেন। এসব অভিযোগ এনে তদন্তপূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন গত বুধবার। তবে রবিউল বলছেন যারা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের কমিটিরও কোনো ধরনের বৈধতা নেই।
অভিযোগে বলা হয়, ‘আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণের জন্য কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক গত ১৫ অক্টোবর দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনজনের নাম জেলা কমিটি বরাবরে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় এবং যথাক্রমে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, ইউনিয়নের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাইছারুল হকের নামসহ সভার রেজুলেশন জেলা আওয়ামী লীগের কাছে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু রবিউল এহেছান লিটন নামের এক ব্যক্তি একটি ভুয়া কমিটি গঠনসহ তাকে একক প্রার্থী করা হয়েছে মর্মে রেজুলেশন জেলা আওয়ামী লীগের কাছে জমা দেন। জেলা আওয়ামী লীগও সেই তথ্য যাচাই না করে রবিউলের নাম কেন্দ্রের কাছে এক নম্বরে পাঠায়।
পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল জানান, ভুয়া কমিটি গঠন করে রেজুলেশন জেলা কমিটির কাছে জমা দেওয়ার বিষয়টি প্রতারণা ও জালিয়াতি। আমরা দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘দলে রবিউল এহেছান লিটনের কোনো পদ-পদবী নেই। এমনকি তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যও নন এবং বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজও করেছিলেন।’ অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল এহেছান লিটন বলেন, ‘যারা নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে কেন্দ্রের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কেউ নন, তাদের কমিটির কোনো বৈধতা নেই। তাই তাদের অভিযোগের ভিত্তি নেই।’ রবিউল দাবি করেন, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বৈধ কমিটির সভাপতি হচ্ছেন এরফান উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল। তবে তৃণমূলের দাবি, এই কমিটি একেবারেই ভুয়া। মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক হলেন যথাক্রমে গিয়াস উদ্দিন ও ইব্রাহিম খলিল।’












