পশ্চিমাদের আশ্বাসে ন্যাটোয় যোগদানের আশা ছেড়ে দিলো ইউক্রেন

| সোমবার , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১২:০২ অপরাহ্ণ

বার্লিনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ শান্তি আলোচনার আগে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে বিকল্প নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে এই অবস্থান পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। রাশিয়ার হামলা থেকে সুরক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ন্যাটোতে যোগদানকে সবচেয়ে কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা হিসেবে বিবেচনা করে আসছিল কিয়েভ।

এমনকি ইউক্রেনের সংবিধানেও ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে নতুন অবস্থান রাশিয়ার অন্যতম প্রধান শর্তের সঙ্গেও মিলছে। যদিও ইউক্রেন এখনো মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অংশীদারদের কাছ থেকে আইনি বাধ্যবাধকতাসম্পন্ন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়া ন্যাটো সদস্যপদের বিকল্প হিসেবে একটি সমঝোতা হতে পারে।

রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনায় কী আছে? জোর করেই ইউক্রেনকে শান্তিচুক্তিতে সই করাবেন ট্রাম্প? তিনি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চেয়েছে। এগুলোই ছিল প্রকৃত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু অংশীদার এই পথে সমর্থন দেয়নি। জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ন্যাটোর অনুচ্ছেদ পাঁচের মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি এবং কানাডা ও জাপানের মতো দেশের সহায়তা ভবিষ্যতে রাশিয়ার আরেকটি আগ্রাসন ঠেকাতে সহায়ক হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনিভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং ডনবাস অঞ্চলের প্রায় ১০ শতাংশ এলাকা, যা এখনো কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।

মস্কোর আরও দাবি, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে কোনো ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না। এর আগে রাশিয়ার বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছিল, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট আর পূর্ব দিকে সমপ্রসারিত হবে না, এমন একটি লিখিত অঙ্গীকার চান। এর অর্থ ইউক্রেন, জর্জিয়া, মলদোভা ও সাবেক সোভিয়েত অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর ন্যাটো সদস্যপদ কার্যত বাতিল করা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউরোপে দেশে দেশে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি, বাড়ছে বর্ণবিদ্বেষ
পরবর্তী নিবন্ধমহেশখালীতে ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট শিশু হিকমা