নগরীর কোরবানির পশুরহাটের লেনদেন ক্যাশলেস করার ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক জুলিয়া চৌধুরী ও যুগ্ম পরিচালক সালাহউদ্দীন মাহমুদ।
জুলিয়া চৌধুরী জানান, কোরবানির বাজারকে কেন্দ্র করে ৭০ হাজার কোটি টাকার নগদ অর্থ লেনদেন হয়। নগদ লেনদেনের ঝুঁকি নিরসনে এবং সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০২২ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো ৬টি বুথ বসানো হয় ডিজিটাল লেনদেনের জন্য। সেবার মাত্র ৪ দিনে ৩৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে কোরবানির বাজারে এ সেবা প্রসারিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সময় প্রাথমিকভাবে এ বছর সাগরিকা গরুর হাট এবং নূর নগর হাউজিং গরুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন বুথ চালুর বিষয়ে ভূমি ও বিদ্যুৎ সেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন মেয়র। এ দুটি বুথে এটিএম মেশিন, মোবাইলে আর্থিক লেনদেন সেবা, ডিজিটাল ব্যাংকিং ইত্যাদির সুবিধা উপভোগ করবেন কোরবানির বাজারের ক্রেতা–বিক্রেতারা।
সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রামকে স্মার্ট নগরে পরিণত করার কাজ চলমান। এবার দুটি হাটের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে সব কোরবানির হাটে ক্যাশলেস লেনদেনের সুবিধা সৃষ্টি করবে চসিক। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ভিসা কোম্পানির প্রতিনিধি মো. নাসিমুল ইসলাম, মাস্টারকার্ড কোম্পানির প্রতিনিধি সৈয়দ নাবিল রাইয়ান।