রাজধানীর পল্লবীতে এক যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লবীর পুরানো থানার কাছে সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে মুখোশ ও হেলমেট পড়া তিন ব্যক্তি ঢুকে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে চলে যায়। ঘটনার পর ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে পালানোর সময় ‘দ্রুতগতিতে না যাওয়ায়’ ওই রিকশা চালককেও গুলি করেছে খুনিরা।
পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, যুবদল নেতা কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের টিম সেখানে গেছে। গোলাম কিবরিয়া যুবদলের পল্লবী থানার সদস্য সচিব বলে স্থানীয়রা জানান। রাত ৮টার দিকে গুলিবিদ্ধ কিবরিয়াকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত আনা হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানায়। কী কারণে কারা তাকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন ওসি। খবর বিডিনিউজের।
ঘটনার পরপরই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের একটি দরজা দিয়ে তড়িঘড়ি করে ঢুকতে দেখা যায়। এরপরই পাশের আরেকটি দরজা দিয়ে তিনজন মুখোশ ও হেলমেট পড়া ব্যক্তি দ্রুত ঢুকে পড়েন। তাদের মধ্যে একজন কিবরিয়াকে খুব কাছ থেকে গুলি করেন। তিনি নিচে মেঝেতে পড়ে গেলে আরেক ব্যক্তি তাকে গুলি করেন। এরপর অস্ত্রধারীরা দ্রুত ওই দোকান থেকে বেড়িয়ে যান।
খুনের পর রিকশা চালককেও গুলি : যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে পালানোর সময় ‘দ্রুতগতিতে না যাওয়ায়’ ওই রিকশা চালককেও গুলি করেছে খুনিরা। সোমবার রাত ৯টার দিকে রিকশা চালক মো. আরিফকে (২০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরিফকে হাসপাতালে নিয়ে যান পিয়ারুল ইসলাম নামের একজন পথচারী। তিনি হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে যখন খুন করা হয়, আরিফ তখন মিরপুর ১১ নম্বর সি ব্লক ও এ ব্লকের মাঝামাঝি এলাকার রাস্তায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন দৌড়ে এসে হেলমেট পরা দুইজন তার রিকশায় উঠে দ্রুত যেতে বলে। না হলে গুলি করে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। রিকশা চালু করতে করতেই দুজনের একজন আরিফের পিঠে গুলি করে রিকশা থেকে নেমে দ্রুত চলে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, গুলিবিদ্ধ আরিফের চিকিৎসা চলছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।












