ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চার থানায় মামলা করেছে পুলিশ। পল্টন, মতিঝিল, শাজাহানপুর ও রমনা থানায় ‘পুলিশের ওপর হামলা ও বেআইনি সমাবেশ’, পুলিশের কাজ ও যান চলাচলে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে করা এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে। মতিঝিল জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, পল্টন, মতিঝিল ও শাজাহানপুর থানার তিন মামলায় ৫৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ শ থেকে ২ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
২৩ জন রিমান্ডে, কারাগারে ৪৪৫: এদিকে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলায় বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। পল্টন ও মতিঝিল থানার এ দুই মামলায় গ্রেপ্তার ৪৭০ নেতাকর্মীর মধ্যে ৪৪৫ জনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস ছালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবীর খোকন, চেয়ারপারসেন বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও আছেন তাদের মধ্যে। জামিন পেয়েছেন কেবল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের রিমান্ড এবং আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি করে এ আদেশ দেন। আগামীকাল ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে এনপিকর্মীরা বুধবার নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকশ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিদের এদিন সকালেই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ শুরু করলে উত্তেজনা তৈরি হয়।
নয়া পল্টনে পুলিশের ব্যারিকেড: অপরদিকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নয়া পল্টনের বিএনপির কার্যালয়ে সামনে উভয় পাশের সড়কের ব্যারিকেড তুলে নিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ব্যারিকেড খুলে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যারিকেড তুলে নিলেও সড়কের উভয় পাশে অনেক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আর বিভিন্ন অলিগলির মুখেও রয়েছে অনেক পুলিশ সদস্য।