পলেস্তরা খসে পড়ে শিক্ষার্থীদের মাথার ওপর

কাঁঠালভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

মীর আসলাম, রাউজান | সোমবার , ২০ অক্টোবর, ২০২৫ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাঁঠালভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ ভবনে বসে ক্লাস করছে। ১৯৬৬ সালে নির্মিত এই বিদ্যালয় ভবনটির পলেস্তরা খসে পড়ে শিক্ষার্থীদের মাথার ওপর।

বিদ্যালয়টি পরিদর্শনকালে দেখা যায় পিলারগুলো ও দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ২২০ জন শিক্ষার্থী ও ৭ শিক্ষক নিয়ে থাকা ৫৯ বছরের পুরোনো এই বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির পাশে অপর একটি ভবন রয়েছে তিন কক্ষবিশিষ্ট। এই ভবনের একটি কক্ষে বসেন শিক্ষকগণ। অপর দুটি কক্ষে বসে পাঠ নেয় দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। এখানে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা না থাকায় অবশিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হয় আগের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেছেন, বসার জায়গা না থাকায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের সেখানে বসিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলেছে ক্লাস চলাকালীন ছাদ থেকে বালু খসে পড়ে তাদের মাথার ওপর ও চোখেমুখে। কাঁঠালভাঙ্গা এই বিদ্যালয়টির মত এই উপজেলার আরো বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়েও রয়েছে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গার সংকট। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষ সংকটে থাকা বিদ্যালয়সমূহে নতুন নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিছু কিছু নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেও এখনো অন্তত ২০টি বিদ্যালয়ের ভবন অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নরুনবী ও উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালামের ভাষ্যানুসারে কয়েকটি ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকার কারণে। তারা বলেন, অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ভবন সমূহের নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছিল পতিত সরকারের আমলে আওয়ামীপন্থী ঠিকাদাররা। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেসব ঠিকাদার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে নির্মাণ কাজে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করার কাজ করছে। ইতিমধ্যে কিছু ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিন দিন নন শিডিউলড ফ্লাইটের খরচ মওকুফ
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ বিক্ষোভে লাখো মানুষ