দেশের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বনের প্রতিবেশ ব্যবস্থা সুরক্ষার লক্ষ্যে সরকার ৫৩টি রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে। বনের সেই রক্ষিত এলাকায় সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্মসূচি পালন করেছে চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। বনবিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা প্রতিপালনসহ সাফারি পার্কের অভ্যন্তরে মাইক, সাউন্ড বক্স, গান–বাজনা, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক, পলিথিন ব্যবহার এবং বনভোজনসহ ক্ষতিকর সকল ধরণের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়ন্ত্রণাধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রসমূহেও একই কার্যক্রমসমূহ যথাযথভাবে বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার সকালে মূল সাফারি পার্কের বাইরে প্রি–এন্টি জোন এলাকাকে পরিবেশ দূষণ কবল থেকে রক্ষায় পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ডুলাহাজারা কলেজিয়েট স্কুলের বেশকিছু শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্লাস্টিক, পলিথিন ও দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরজমিন দেখা যায়– পার্ক কর্তৃপক্ষের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কলেজিয়েট স্কুলের দুই শিক্ষকের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে। ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা বিভক্ত হয়ে পার্কের প্রি–এন্টি জোনের কয়েক একর এলাকাকে সম্পূর্ণ পরিবেশ দূষণমুক্ত করার কাজে নেমে হাতে বস্তা হাতে। সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, বর্তমান পরিবেশ–বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় দেশের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বনের প্রতিবেশ ব্যবস্থা সুরক্ষার লক্ষ্যে ৫৩টি রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে। বনের সেই রক্ষিত এলাকায় সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রক্ষিত বন এলাকার দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই পরিস্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযান সম্পন্ন করা হয়েছে। একইভাবে পার্কের অভ্যন্তরেও একই ধরণের পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে পুরো পার্কজুড়ে পলিথিন, প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হওয়ায় সুন্দর পরিবেশ গড়ে ওঠেছে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখা হবে। যোগ করেন পার্ক কর্মকর্তা মাজহার।