আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুই আসামি হলেন, কামরুল ইসলাম সিকদার মুসা ও মো. খায়রুল ইসলাম কালু। গতকাল অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিম এ আদেশ দেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকলেও আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। পুলিশও তাদের খুঁজে পায়নি। এ অবস্থায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করাটা নিয়ম। আদালত সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র এক কর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন বাবুল আক্তার নিজেই, এমনটা উল্লেখ করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্ঠার ডকেট ও ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল ৬ বছর আগে যে মামলা করেছিলেন তাতেই তাকে প্রধান আসামি করে এই চার্জশিট দেয়া হয়।
বাবুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ৬ জন হলেন, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও মো. খায়রুল ইসলাম কালু। ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল আক্তার কঙবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে ভারতীয় নাগরিক ও ইউএনএইচসিআর কর্মী গায়ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে স্ত্রী মিতুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। এর জেরে তাকে খুনের সিদ্ধান্ত এবং খুনিদের ৩ লাখ টাকায় ভাড়া করে মিশন শেষ করেন বাবুল। বাবুলকে এ কাজে সহায়তা করেন তার বিশ্বস্ত সোর্স মুসা। পরে পরিকল্পনা মতো জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওআরনিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।