শীতে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে বেড়েছে পর্যটকের ভিড়। যাতায়াতের সুবিধার কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক যাচ্ছে। ফলে পর্যটকে মুখর হয়ে উঠেছে আলুটিলা, রিছাং ঝর্ণা, জেলা পরিষদ পার্কসহ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো। অতিথি বাড়ায় ভালো ব্যবসা করছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।
পাহাড়, অরণ্য, ঝিরি ঝর্ণা ও উপত্যকা নিয়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। শীতের শুরু থেকেই খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের সমাগম বাড়ছে। শীত মৌসুমে পাহাড়ের আবহাওয়া ভ্রমণ উপযোগী হওয়ায় দল বেঁধে ঘুরতে আসছে পর্যটকরা। আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেং, রিছাং ঝর্ণাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে। পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন আসছে পর্যটকরা। ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন পর্যটক জানান, পাহাড়ের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। শীতের সময় পাহাড়ে বেড়ানোর ভালো সময়।
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল অরণ্য বিলাসের ব্যবস্থাপক সাগর নাথ বলেন, শীতের শুরুতে আমাদের এখানে প্রচুর পর্যটক আসছে। আশা করছি এবারও গতবছরের মতো ভালো আয় হবে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ভিড় থাকবে। পর্যটন মৌসুমের বেশির ভাগ দিনই হোটেলের রুমগুলো বরাদ্দ হয়ে যায়। খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ সন্তোষ ধামাই বলেন, শীতে পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশের মোবাইল টিম। সবগুলো কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুরো শীত মৌসুমে পর্যটকদের চাপ থাকবে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও পর্যটক এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছে ।
এদিকে পর্যটকদের আর্কষণ বাড়াতে কাজ করছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, খাগড়াছড়ি পর্যটন নির্ভর শহর। পর্যটকদের চলাচলের সুবিধার্থে পর্যটক সহায়ক স্থাপনা গড়ে তোলা হবে। খাগড়াছড়ির আলুটিলায় নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ, জেলা প্রশাসনের হাতি ফুলকলির সমাধি সৌধ, রিছাং ঝর্ণায় নির্মাণ করা হবে ক্যাবল কার। এতে রিছাং ঝর্ণায় পর্যটকরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।