পাকিস্তানের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয়েছে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ। অথচ ম্যাচের শুরুটা বেশ ভালই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দারুণ এই শুরুর পরও ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। সালমান ও হাসান নাওয়াজ ধীরে ধীরে ম্যাচ নিজেদের হাতে তুলে নেন। দুইজনের দৃঢ়তায় চাপমুক্ত হয় পাকিস্তান। পরে শাদাব খানের ক্যামিও ইনিংস বাড়িয়ে তোলে স্কোর। বাংলাদেশের বোলিং ছিল বিবর্ণ। পেসার শরিফুল ইসলাম ৩ ওভারে ৩২ রান খরচ করে নেন ২ উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব, মাহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন ছিলেন আরও খরুচে। তুলনামূলক ভালো বল করেন হাসান মাহমুদ। ৩ ওভারে মাত্র ২৪ রান দেন তিনি। তবে চমক দেখান শামীম হোসেন। ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায় তিনি নেন ১ উইকেট। জবাবে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আগ্রাসী। বিশেষ করে তানজিদ হাসান প্রথম কয়েক ওভারে খেলেন ঝড়ো ইনিংস। লিটনও শুরুতে ছিলেন এমনই। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ১২তম ওভারে ৪৮ রান করা লিটন যখন আউট হন, তখনও রান তাড়া করার আশা ছিল। কিন্তু এরপর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাটিং। মাত্র ৬৪ রানের মধ্যে হারায় শেষ ৮ উইকেট। ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন চারজন টপ অর্ডার ব্যাটার। হারের ব্যবধান কমাতে শেষদিকে জাকের আলি খেলেন ২০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘোরানোর মতো পরিস্থিতি তখন আর ছিল না।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন দাস অকপটে মেনে নেন দলের ব্যর্থতা। তিনি বলেন আমরা তিন বিভাগেই ভালো খেলতে পারিনি। না ব্যাটিং, না বোলিং, না ফিল্ডিং। এই পারফরম্যান্সে জেতার সুযোগ নেই। অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে হবে, সিরিজে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। ফিল্ডিং নিয়ে বিশেষভাবে হতাশ লিটন শুধু ব্যাটিং–বোলিং নয়, ভালো ফিল্ডিংও করতে হবে। গতিময় খেলায় ভালো ফিল্ডিং না হলে ম্যাচ বের করে আনা কঠিন। এই মুহূর্তে আমাদের ফিল্ডিং খুবই বাজে। তবু লিটনের দাবি ২০০ রান তাড়াও অসম্ভব নয় লাহোরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে। এই মাঠে রান তাড়া সম্ভব। উইকেট খুব ভালো। কিন্তু মাঝের ওভারে আমরা ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারিনি। একটা ইতিবাচক দিক ছিল জাকের আলির ফর্ম। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে একপ্রান্ত আগলে রাখার কাজটা গত এক বছর ধরেই করে যাচ্ছেন তিনি। লিটনের ভাষায়, জাকের এই মুহূর্তে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। কিন্তু কোনো একজন ক্রিকেটার একা জেতাতে পারে না। সবার অবদান লাগবে। শেষ দিকে মানসিকতার বিষয়টাও তুলে আনেন লিটন। বাংলাদেশি অধিনায়ক বলেন, অনুশীলন নয়, এটা মানসিকতার ব্যাপার। শুধু স্কিল থাকলেই হবে না। মাথায় রাখতে হবে কীভাবে ক্রিকেট খেলতে হয়, মাঠে সেই চিন্তার বাস্তবায়ন করতে হবে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ একই ভেন্যুতে আজ শুক্রবার। সেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ থাকবে বাংলাদেশ দলের সামনে।