খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি কলেজে ২৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও দুই শিক্ষককে পরীক্ষার হলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেন নাজমুস সাকিব নামে এক শিক্ষক। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন তিনি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তীব্র সমালোচনার মুখে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সাথে ঐ শিক্ষকসহ দুইজনকে পরীক্ষার হলরুমে ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। রামগড় সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক নাজমুস সাকিব জানান, ২৮ এপ্রিল কলেজে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় নির্ধারিত সময়ের (তিন ঘণ্টা) কিছুটা আগে খাতা জমা দেয়ায় অন্যায়ভাবে ২৯ জন ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়। তিন ঘণ্টার আগে পরীক্ষার হল থেকে কেউ বের হতে পারবে না এরকম কোনো লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। শিক্ষার্থীরা জানেও না তারা কেন বহিষ্কার হয়েছে। এছাড়া গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান ও আমাকে পরীক্ষার হলের ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমি আজ (গতকাল) সকাল থেকে অনশন শুরু করি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ নোটিশ দিয়ে প্রত্যাহার করে নেন। এছাড়া পরীক্ষার হলরুমে আমিসহ দুই জন শিক্ষককে ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার করায় অনশন স্থগিত করেছি।
এ ব্যাপারে রামগড় সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মংসাজাই মারমা বলেন, একাদশ শ্রেণির যে ২৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা আমরা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এছাড়া যে দুই জন শিক্ষককে পরীক্ষার হলরুমে ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির আদেশ দেয়া হয়েছিল তাও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।