কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পেয়ে চলমান এসএসসির প্রথম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা সেই ১৩ শিক্ষার্থী অবশেষে পরীক্ষায় বসার অনুমতি পেয়েছে। অনুমতি পেয়েই গতকাল মঙ্গলবার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় তারা অংশগ্রহণ করেছে। অপরদিকে আলোচিত এ ঘটনায় উখিয়ার হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী। তিনি জানান, উখিয়ার হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের ১৩ শিক্ষার্থী চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে বাংলা প্রথম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ ঘটনায় জড়িত প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুসকে আটকের পরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় মঙ্গলবার থেকে ১৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। তাদের জন্য নতুন করে প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাঠানো হয়েছে। এর ফলে তারা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বাংলা দ্বিতীয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এবং পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও নিয়মমাফিক অংশ নেবে।
জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার রুমঁখা পালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই ১৩ পরীক্ষার্থীর জন্য ফরম ফিলআপ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের ১৩ শিক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র হাতে পাওয়ার পরপরই তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র নিয়ে তারা পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় গত ১০ এপ্রিল শুরু হওয়া ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বসতে পারেনি এই ১৩ জন পরীক্ষার্থী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন, সড়ক অবরোধ এবং বিদ্যালয়ে ভাঙচুর করেছে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক–স্বজনরা। এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুসকে ওইদিনই আটক করা হয়।
ওই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুস প্রবেশপত্র দিতে পারেননি। পরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আন্দোলনের মুখে পুলিশ প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুসকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
উখিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসেন বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ উল্লাহর দায়েরকৃত মামলায় প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুসকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।