পরীক্ষামূলকভাবে মে থেকে আগ্রাবাদে পে-পার্কিং

একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চসিকের সমঝোতা গাড়ি রাখতে খরচ হবে ১৫ থেকে ২০০ টাকা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৪ মার্চ, ২০২৪ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

পরীক্ষামূলকভাবে নগরের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পেপার্কিং চালু করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। পাইলটিং এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিট্র্যাক সলিউশন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গতকাল চসিকের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। পাইলটিং এ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ৬ মাস। মেয়াদ শেষে দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে সময় বৃদ্ধি করা যাবে। যানজট কমাতে পেপার্কিং চালুর কথা জানায় চসিক।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, পেপার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি ‘ইয়েস পার্কিং’ নামে অভিহিত হবে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০০টি গাড়ি রাখার সুযোগ থাকবে এখানে। সেখানে যারা পার্কিং করবেন তাদের তিন ও চার চাকা গাড়িগুলো রাখতে ঘণ্টায় ৩০ টাকা দিতে হবে। এসব গাড়ি সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা রাখতে চাইলে দিতে হবে ২০০ টাকা। এছাড়া মোটরসাইকেল রাখতে ঘণ্টায় দিতে হবে ১৫ টাকা এবং সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাখতে দিতে হবে ১০০ টাকা।

সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং বিট্র্যাক সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী।

এ সময় জানানো হয়, ৭ মার্চ থেকে চসিকের নির্ধারিত স্থানে পেপার্কিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে বিট্র্যাক সলিউশন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে পেপার্কিং চালু করতে পারবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নগরের যে যানজট লেগে আছে তা নিরসনের জন্য চসিক সিএমপির ট্রাফিক বিভাগকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে আপাতত আগ্রাবাদ এলাকায় পেপার্কিংয়ের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিট্র্যাক সলিউশনের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হলে পরবর্তীতে আরও পেপার্কিং প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাতকে অবৈধ দখলমুক্ত করে ওখানে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। নগরবাসী যাতে ফুটপাতে অবাধে ও নিরাপদভাবে চলতে পারে সেজন্য চসিক কঠোরভাবে নজরদারি করছে। অনুরূপভাবে নগরীর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধে পেপার্কিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীনউলইসলাম চৌধুরী, মো. ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মো. শাফকাত বিন আমিন এবং বিট্র্যাক সলিউশনের প্রকল্প প্রধান সাফায়েত আবদুল্লাহ, হেড অব সেলস সিরাজ উদ্দিন, ডেপুটি ম্যানেজার মো. শাহ ফারুক, জুনিয়র একজিকিউটিভ সরোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনিবন্ধিত কওমি মাদরাসার নিবন্ধনে বেফাকের সঙ্গে কাজ করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা