পরীক্ষাকেন্দ্রে সাপের কামড়, হাসপাতালে শিক্ষার্থী

পটিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৮ জুলাই, ২০২৫ at ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে সাপের কামড়ে এক পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে আইসিটি পরীক্ষার সময় খলীল মীর ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রের হলে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী মো. বোরহান উদ্দিন সাগর (১৯) হুলাইন সালেহ নূর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের নলান্দা গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে।

সাগরের মা জেসমিন আক্তার জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় পরীক্ষা শুরুর মুহূর্তে পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বিষাক্ত সাপ তাকে কামড়ে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা চিৎকার শুরু করলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা যায়, হাসপাতালে নেওয়ার পর আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে পরিবারের সদস্যরা পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব কিনা জানতে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, দুপুর ১টার মধ্যে পরীক্ষার হলে হাজির করলে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

আহত শিক্ষার্থী মো. বোরহান উদ্দিন সাগর জানান, পরীক্ষার হল অন্ধকার থাকায় আমি জানালা খুলতে যাই। এ সময় সাপ আমাকে কামড়ে দেয়। বিষয়টি শিক্ষককে জানালে শিক্ষক দ্রুত কলেজ কর্মচারীর মাধ্যমে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নওশাদ জানান, সাপে কামড়ানোর ঘটনায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বোরহান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনের পর তাকে সাপে কাটার চিকিৎসা দেয়া হবে। তাকে স্যালাইন দেয়াসহ প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খলিল মীর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মেজবাহ্‌ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষা শুরুর পূর্বে হলের তিন তলায় ছেলেটি হাইবেঞ্চে উঠে একটি স্লাইডিং গ্লাস খুলার সময় হঠাৎ সাপে কামড় দিয়েছে বলে চিৎকার করে উঠে। এ সময় তাকে দ্রুত পটিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফিরে আসলে তাকে নিতান্ত মানবিক কারণে পরীক্ষার টাইম ফ্রেমের মধ্যে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। যথারীতি সে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবার সাথে খাতা জমা দেয়। পরীক্ষার আইনের বাইরে গিয়ে আমাদের কিছুই করার ছিল না। যার কারণে তাকে অতিরিক্ত সময় দেয়ার কোন সুযোগ ছিল না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরীক্ষা কেন্দ্রে সাপের কামড় খেয়ে হলে বসা হয়নি পটিয়ার শিক্ষার্থীর
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব নারায়ণকে সাময়িক বরখাস্ত