করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি না হলে জুলাই থেকে চূড়ান্ত পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক পরীক্ষা অনলাইনে নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল। আজ বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর গত ১৮ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত বছর সাধারণ ছুটি শেষে এবং বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কমে এলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলাসহ পরীক্ষা নেওয়ার বিষয় আলোচনায় আসে। তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস বন্ধ রাখে এবং অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো শুরু করে। খবর বিডিনিউজের।
দীর্ঘ মেয়াদে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুরুতে অনলাইন ক্লাস না নিলেও পরে গত বছর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু হয়। অ্যাসাইনমেন্ট থেকে শুরু করে মিডটার্মের পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ডিনস কমিটির সভায় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রত্যেক অনুষদের ডিনকে নিজেদের অনুষদের রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে নীতিমালা তৈরি করতে বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে জুলাইয়ের শুরু থেকেই আমরা অনলাইনে পরীক্ষা নেব। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভিন্ন সিদ্ধান্ত হতে পারে। তিনি বলেন, পরীক্ষা কোয়ালিটি যাতে কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য ডিনরা কৌশলপত্র তৈরি করবেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে এই কৌশলপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ডিনস কমিটির এসব সিদ্ধান্ত শিগগির বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় অনুমোদন করা হবে। ‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (এলএমএস) অ্যাপের মাধ্যমে এসব পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষকরা এতদিন বিডিরেনের জুম অ্যাপ বা গুগুল ক্লাস রুম ব্যবহার করে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়েছেন। এখন একটি সুনির্দিষ্ট মাধ্যম অনুসরণ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আমরা ‘এমএলএস’ মাধ্যমকে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছি। পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা অনলাইনেই ফরম পূরণ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
