পরিবেশ রক্ষা করেই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী বাস্তবায়িত হবে : বেজা চেয়ারম্যান

সীতাকুণ্ড থেকে ফেনীর সোনাগাজী পর্যন্ত বিস্তৃত এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে তিন ধাপে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৯ মে, ২০২৪ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের আঞ্চলিক পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের খসড়া প্রতিবেদনের উপর অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে সংশ্লিষ্ট পরিবেশগত এবং সামাজিক ঝুঁকি এবং প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। চট্টগ্রামের মীরসরাই, সীতাকুণ্ড এবং ফেনীর সোনাগাজী এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই মহাপরিকল্পনাটি তিন ধাপে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রথম দুই ধাপ পাঁচ বছর মেয়াদি এবং তৃতীয় ধাপ ১০ বছর মেয়াদি।

কর্মশালায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এই মহাপরিকল্পনা সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী বাস্তবায়িত হলে আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। তবে একই সাথে এই মহাপরিকল্পনা যেন পরিবেশগত কোন ঝুঁকি না নিয়ে আসে, সেদিকেও আমাদের নজর রয়েছে। এ সময় তিনি এই শিল্পনগরীকে সবুজ এবং টেকসই হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে ইইউসহ উন্নত বিশ্বের বাজার ধরতে চাইলে সবুজ এবং টেকসই শিল্পায়নের বিকল্প নেই। তাই আমরা সেভাবেই এই শিল্পনগরী গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। এ সময় তিনি নিশ্চিত করেন যে, এই পরিকল্পনা অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কোনো গাছ কাটা হবে না এবং ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষায় কাজ করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী শিল্পের বিস্তার ঘটাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অপরিকল্পিত শিল্পায়ন কমাবে। এই মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভিন্ন ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম১ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে এই শিল্পনগরীর অবস্থান সুবিধাজনক। বহির্বিশ্ব চীনের বাইরে বিনিয়োগ করতে চাইলে যেন বাংলাদেশের কথা ভাবতে পারে সেভাবেই আমাদের গড়ে তুলতে হবে এই শিল্পনগরটি। এ সময় তিনি এই অঞ্চলের পর্যটন খাতেও যেন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে তা নিশ্চিতকরণেও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজিসহ জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধযাত্রাবাড়িতে উত্তরা মোটর্সের ডিলার শোরুম উদ্বোধন