১৯২৪ সাল। অলিম্পকের অষ্টম আসর। এই আসরে অলিম্পিকের জন্য নতুন নিয়ম তৈরি করে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি। এতে বলা হয়–আয়োজক শহরকে প্রত্যেক অ্যাথলেটের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন নিয়ম শুনেই ফরাসিদের মাথায় ভালো একটা বুদ্ধি খেলে যায়। সব অ্যাথলেটকে যদি একই ছাদের নিচে নিয়ে আসা যায় সেটা কেমন হবে? অলিম্পকের মূলমন্ত্রই যে মানুষের সম্প্রীতির বন্ধন রচনা সেটাই তো জয়ী হবে, তাই না!
যেই বুদ্ধি সেই কাজ। প্যারিসের ব্যয়বহল বাসস্থানের চেয়ে অস্থায়ী বাসা তৈরি করা হলো। সাশ্রয়ী দামের সামগ্রী ব্যবহার করা হলো। কাঠের ঘর, সেলুন, ডাকঘর, রেস্তোঁরাসহ যাবতীয় সব সুযোগ–সুবিধা গড়ে তোলা হলো। অলিম্পিকের মূলমঞ্চের পাশেই গড়ে তোলা এই অস্থায়ী আবাসের নাম দেয়া হলো ‘অলিম্পিক ভিলেজ’।
এখন ২০২৪। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের অদূরে সেন্ট–ডেনিসে এবারের অলিম্পিক ভিলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। ১৯২৪ সালে অলিম্পিক শেষ হওয়ার পরপরই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল সেই অস্থায়ী নিবাস। আর ২০২৪ –এ এসে বুদ্ধিমান ফরাসিরা শুধু ঘর, বিছানা, এমনকি ঘরের আসবাবপত্রও বানিয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী দিয়ে।
এবারের অলিম্পক ভিলেজে সবার নজরে বেশি এসেছে কুলিং সিস্টেম। কার্বন নিঃসরণ কমাতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আয়োজকরা ভিলেজে কোনও তাপানুকূল বা এয়ার–কন্ডিশনিং (এসি) ব্যবস্থা রাখেনি। তারপরও বলা যায়, এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা হয়েছে এই গ্রাম।
এখন দেখি সেটা কিভাবে করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কয়েকটি দালান, যেগুলো ভবিষ্যতে অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হবে সেগুলো বাদে এই গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকেও এসি ছাড়াই অলিম্পিক ভিলেজকে ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি ভবনের ছাদেই সবুজের সমারোহ। সোলার প্যানেল দিয়েই তৈরি করা হয়েছে কিছু ভবনের ছাদ। সিন নদী থেকে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি যাতে অলিম্পিক ভিলেজে প্রবেশ করতে পারে, তার জন্য রাখা হয়েছে রাস্তা। অলিম্পিক ভিলেজের কয়েকটি ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে সামুদ্রিক শেল দিয়ে। এসব বৃষ্টির দিনে যেমন দ্রুত পানি শোষণ করে নেবে, তেমনি ধরে রাখা পানি গরমের দিনে পথচারীদের ঠান্ডা রাখবে। প্রতিটি এপার্টমেন্টের নিচেই রাখা হয়েছে ওয়াটার কুলিং সিস্টেম। এই সিস্টেম প্রতিটি ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে রাখবে।
এমনিতে প্যারিসের আবহাওয়া এখন খুব গরম নয়। বর্ষা চলছে ওখানে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানেই বৃষ্টি নামতে দেখা । তাপমাত্রা গড়ে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আমাদের দেশের হিসেবে এই তামাত্রায় এসির প্রশ্নই নেই। ইউরোপের অনেক দেশেই তাপানুকূল ব্যবস্থার চল বিশেষ নেই। সম্প্রতি বিশ্ব উষ্ণায়নের ঠেলায় যদিও অনেক দেশকেই এসির শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। ইউরোপীয় নেতারা দাবি করে এসেছেন, নীলগ্রহকে আমরাই গরম করে তুলছি। এসি লাগিয়ে নিজেদের আরামের জন্য একে আরও গরম করে তুললে তো পরে পস্তাতে হবে আমাদেরই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দাবদাহে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১২৫, ২০০৩ সালে ইউরোপে তীব্র দাবদাহে ৭০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। ২০১০ সালে রাশিয়াতে ৫৬ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল দাবদাহ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে বয়োবৃদ্ধ, শিশু, গর্ভবতী, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সাথে জড়িত তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। বয়োবৃদ্ধ, শিশু ও গর্ভবতী নারী ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীর থাকে। যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রম করেন যেমন কৃষক অথবা রিকশাওয়ালা, তারা ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ তারা সূর্যের নিচে বেশি সময় কাটান। গরমে শারীরিক শ্রমে শরীর আরো গরম হয়ে ওঠে। বাইরে যারা কায়িক পরিশ্রম করেন, তাদের সাথে সাথে খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও এটি বেশি ঘটে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণা প্রকল্পের অধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউরোপিয়ান কোপারনিকাস নেটওয়ার্কের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই ছিল বিশ্বজুড়ে ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন। এর মধ্যে ২২ তারিখে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা রেকর্ড ১৭ দশমিক ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়।
সেই পস্তানোর কথাই তুলে ধরেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গত ২৫ জলাই তিনি বিশ্ব ‘তীব্র তাপ মহামারিতে’ ভুগছে বলে সতর্ক করেছেন। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃদ্ধি পাওয়া তাপপ্রবাহে লাগাম টানতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘শত শত কোটি মানুষ তীব্র তাপ মহামারির মুখে পড়েছে। দিন দিন বাড়তে থাকা প্রাণঘাতী তাপপ্রবাহে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। যে তাপমাত্রায় পানি ফুটতে শুরু করে, এটি তার অর্ধেক। আজ আমরা তীব্র তাপপ্রবাহের দিকে নজর দিচ্ছি। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে জলবায়ু সংকটের আরও অনেক ধ্বংসাত্মক প্রভাব রয়েছে। যেমন আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, দাবানল, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ অনেক কিছু। জলবায়ু পরিবর্তনের এসব প্রভাব সামাল দিতে আমাদের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সেই রোগটা হলো, আমাদের একমাত্র আবাসস্থল পৃথিবীকে জ্বালিয়ে–পুড়িয়ে ফেলা। রোগটা হলো জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আমাদের আসক্তি। রোগটা হলো জলবায়ু নিয়ে আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকা।’ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। ২০২৪ সালেও এখনো বেশ কয়েক মাস বাকি আছে। তাই চলতি বছর আগের বছরের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। তাপপ্রবাহের কারণে ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৪ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছে ১৬ হাজার মানুষ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। ২০২০ সালে বিশ্বের ৭০ শতাংশ শ্রমিক তীব্র তাপমাত্রার মধ্যে কাজ করার ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন, যা ২০০০ সালের চেয়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। আর তীব্র গরমের কারণে ২০২৩ সাল নাগাদ বিশ্বে অর্থনৈতিক ক্ষতি ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
বিবিসি এর গত ২৭ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের করাচিতে প্রচন্ড গরমে ৬ দিনে ৫০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে। করাচিতে মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা এমন সময়ে বেড়েছে, যখন সেখানকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাপিয়ে গেছে। হাসপাতালে আসা মানুষের অধিকাংশের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর। কয়েকজনের বয়স ৪৫ বছরের কাছাকাছি। এক তরুণ দম্পতিও ছিলেন, যাঁদের বয়স বিশের কোটায়। উপসর্গগুলোর মধ্যে আছে বমি, ডায়রিয়া ও তীব্র জ্বর।
জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ, আবহাওয়াবিদ এবং নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে আগামী কয়েক বছরে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রার এমন বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জলবায়ু বিজ্ঞানীরা সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, “এখনই কিছু করুন নাহলে সংকটের ঝুঁকিতে থাকুন!” জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবেদন অনুযায়ী তাপমাত্রায় বিপজ্জনক বৃদ্ধি এড়াতে বিশ্বকে “দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে“।
তাহলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের আসলে কোন উপায় কি আছে? সব এলাকায় তো আর অলিম্পিক ভিলেজ মডেল গড়ে তোলা যাবে না। এজন্য করণীয় কি হতে পারে?
বিবিসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যে ৫টি উপায়ের কথা বলা হয়েছে। যা অবলম্বন করলে বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে পারি আমরা। বৈশ্বিক উষ্ণতা বিষয়ক ওই প্রতিবেদনটির প্রধান সমন্বয়কারী লেখক অরোমার রেভির মতে, “সাধারণ কান্ডজ্ঞান কাজে লাগিয়ে মানুষ অনেক কিছু করতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে বড় ধরণের পদক্ষেপ নিতে নাগরিক এবং ভোক্তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।“
প্রতিদিনের জীবন থেকে এমন পাঁচটি ভূমিকার কথা তুলে ধরা হল, যেগুলো আমরা চাইলে আজ থেকেই পরিবর্তন করতে পারি।
১. গণপরিবহন ব্যবহার করুন:
ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে হাঁটা, সাইক্লিং বা গণপরিবহনের ব্যবহার কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার পাশাপাশি আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
২. শক্তির অপচয় রোধ করুন:
ওয়াশিং মেশিনে যদি কাপড় ধুতেই হয় তাহলে সেটি শুকানোর কাজ মেশিনের টাম্বেল ড্রায়ারে না করে, বাইরের রোদে বা বাতাসের মধ্যে দড়িতে মেলে দিন। এতে কাপড় শুকানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়া বিদ্যুতের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানো এড়ানো যাবে। ঘরকে ঠান্ডা করতে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তার এর চাইতে বাড়িয়ে রাখুন। এবং ঘর গরম করতে হিটারের তাপমাত্রা কমিয়ে ব্যবহার করুন। পরের বার যখন আপনি কোন বৈদ্যুতিক সামগ্রী কিনবেন, তখন এটি নেবেন যে যন্ত্রটি শক্তি সঞ্চয়ে দক্ষ কিনা। নিজের প্রয়োজনীয় কিছু কাজের জন্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: পানি গরম করতে সৌরশক্তিতে চালিত সোলার ওয়াটার হিটার ব্যবহার করতে পারেন। শীতকালে বাড়ির স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ছাদে ঠান্ডা প্রতিরোধক স্তর স্থাপন করুন। গরমকালেও ছাদ ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা নিন। যেসব বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে না সেগুলো আনপ্লাগ করে সুইচ বন্ধ করে রাখুন। এই বিষয়গুলোকে খুব ছোট পরিবর্তন মনে হলেও শক্তি সঞ্চয় করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায়।
৩. মাংস খাওয়া কমিয়ে নিরামিষভোজী হয়ে যান:
মুরগি মাংস, ফল, শাকসবজি বা শস্যের উৎপাদনের চেয়ে লাল মাংসের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটায়। খাদ্যাভ্যাসে মাংসের পরিবর্তে সবজি এবং ফলের ওপর নির্ভরতা বাড়ান। যদি এটি খুব চ্যালেঞ্জিং মনে হয়, তাহলে সপ্তাহের অন্তত একদিন মাংস না খেয়ে কাটান। দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া কমিয়েও আপনি পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারেন। কেননা এসব খাদ্যের উৎপাদন ও পরিবহণে প্রচুর পরিমাণে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়। আমদানি করা খাবারের পরিবর্তে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মৌসুমি খাদ্য বেছে নিন। এবং খাবারের অপচয় এড়িয়ে চলুন।
৪. প্রতিটি জিনিস পুনর্ব্যবহারের চেষ্টা করুন–এমনকি পানিও:
কোন বস্তুকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করতে যে উপকরণ লাগে সেটার পরিবহন এবং প্রক্রিয়াকরণে প্রচুর পরিমাণে কার্বনের ব্যবহার হয়। তারপরও এটি নতুন পণ্য তৈরির চেয়ে কম শক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু পণ্যগুলো পুনঃব্যবহারের ফলে আরও নানা ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেতে পারে। পানির ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।
৫. অন্যদের এসব বিষয়ে জানান এবং শেখান:
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি সবদিকে ছড়িয়ে দিন এবং সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে শিক্ষিত করে তুলুন। একটি টেকসই কমিউনিটি জীবনযাত্রা প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করুন। একটি অংশীদার–ভিত্তিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। যেন বিভিন্ন সম্পদ ভাগ করে ব্যবহার করা যায়। যেমন: ঘাস কাটার যন্ত্র বা বাগানের সরঞ্জামাদি। এতে একটি সবুজ জীবনযাত্রার মান অর্জন করা যাবে।
এসব পরিবর্তন একেবারে ব্যক্তি থেকে। এসবের পর্যায় একদম সীমিত। তবে কথায় আছে তো– ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল। তাই বলা যায়, এই সকল পরিবর্তন যখন কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন অনুশীলন করবে, তখন তা ধীরে ধীরে টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
লেখক: উপ–পরিচালক (জনসংযোগ), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)