চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরে যানজট এখন নিয়মিত সমস্যা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বড় কোনো উৎসব বা বিশেষ উপলক্ষে হঠাৎ করেই গাড়ির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। এটা কোনো কাকতালীয় বিষয় নয়; বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবহন মালিক বা চালকরা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে এই সংকট তৈরি করেন। উৎসব বা ছুটির দিনে যখন মানুষের চলাচলের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি থাকে, তখন পরিবহন শ্রমিকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া দাবি করেন। এমনকি নির্ধারিত রুটের নির্ধারিত ভাড়ার তোয়াক্কা না করে দ্বিগুণ–তিনগুণ ভাড়া দাবি করে বসেন। যারা দিতে পারে, তারা বাধ্য হয়ে দেয়। আর যারা পারে না, তাদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টকর। এই প্রবণতা এখন এক ধরনের ফাঁদ বা সিন্ডিকেট বাণিজ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। উৎসব কিংবা ছুটির আনন্দ সাধারণ মানুষের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায় শুধু এই অপরিকল্পিত ও অন্যায় পরিবহন ব্যবস্থার জন্য। এই অবস্থার পরিবর্তনে কঠোর প্রশাসনিক নজরদারি দরকার। পরিবহন মালিক ও চালকদের এমন আচরণের বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কেউ যাতে অন্যায়ভাবে লাভবান হতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রশাসনিক নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতাও জরুরি।
হাসনাইন মাবরুর
চুনতি, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।