চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ধর্ম মানুষকে সত্য, সুন্দর ও মঙ্গলের বার্তা দেয়। একজন পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত হতে ধর্ম ও নীতি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি একটি আলোকিত সামাজিক ও মানবিক প্রতিষ্ঠান। সমাজের শিশু–কিশোরসহ আপামর জনসাধারণের নৈতিক জাগরণে বাগীশিকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গতকাল শুক্রবার বাগীশিক পরিচালিত গীতাধ্বনি সনাতন বিদ্যামন্দিরের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ বাগীশিক কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও বাগীশিক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক পলাশ কান্তি নাথ রণী। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অমল কান্তি দাশ। আশীর্বাদক ছিলেন বাংলাদেশ লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবক ফোরাম–চট্টগ্রাম’র সভাপতি শিবু প্রসাদ দত্ত। মঙ্গলদীপ প্রজ্বালন করেন নির্মল কান্তি দেব, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সভাপতি ঝুন্টু চৌধুরী ও বাগীশিক কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শম্ভু দাশ।
অনুষ্ঠানে গুণীজন হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও রাঙ্গুনিয়া আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ জয়ন্তী রাণী রায়কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অধ্যাপক কৃষ্ণা দাশ। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাগীশিক কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ–সভাপতি ডা. অঞ্জন কুমার দাশ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগীশিক চট্টগ্রাম মহানগর সংসদের সভাপতি প্রকৌশলী সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিক, সাধারণ সম্পাদক ডা. অপূর্ব ধর, অর্চনা ভঞ্জ ও অধ্যাপক শুক্লা দেবী। অনুষ্ঠানে কবি ও শিশু সাহিত্যিক অরুণ শীল, গৌর–বিষ্ণুপ্রিয়া সংসদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দেব, নৃত্যশিল্পী সূচনা বণিক, সংগঠক শুভ তালুকদার শান ও আবৃত্তিশিল্পী শুভ্রা চক্রবর্তীকে কৃতিজন সম্মাননা দেয়া হয়।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাসু চৌধুরী, অনুপম নাথ, নির্মল মজুমদার। সাংস্কৃতিক পর্বে নৃত্য পরিবেশন করেন অলকা মজুমদার, সপ্তমা চক্রবর্তী, অর্পা শীল, স্বস্তিকা সেন এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন কেয়া লাহিড়ী, প্রত্যয় বড়ুয়া অভি, সোমা শীল দেবী, তৃষা দে ও ঈষা দে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।