পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর আবু ছৈয়দ হত্যা মামলার অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারীসহ আরো পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মগনামায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও গতকাল শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করে র্যাব–১৫। এদিকে শুক্রবার দুপুরে মগনামার সিকদার পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পেকুয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ছিদ্দিক আহমদ (৪৫) ও তার ছেলে আরকান (২২)। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে নিহত আবু ছৈয়দের কেটে নিয়ে যাওয়া পা উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুরে কঙবাজার র্যাব–১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, ১৩ অক্টোবর মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মগনামা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু ছৈয়দ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই নম্বর আসামি ও অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী নুরুল ইসলামের পুত্র নেজামুল ইসলাম মোজাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় গ্রেপ্তার হয় একই এলাকার মৃত নুরুন্নবীর পুত্র আমিরুজ্জামান ও তার ভাই জামিল ইব্রাহিম ছোটন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ঘটনার তিনদিন আগে হত্যাকারীরা নিজেদের মধ্যে গোপন সভা করে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। সে মোতাবেক গত ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টায় আবু ছৈয়দ তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ধারালো অস্ত্র–শস্ত্র নিয়ে সেখানে হানা দেন। ঘরে ঢুকে আবু ছৈয়দকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে সে খাটের নিচে ঢুকে পড়ে। পরে সেখান থেকে তাকে টেনে–হিঁচড়ে বের করে হাত–পা চেপে ধরে কোপানোর পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যান। এ সময় আবু ছৈয়দের ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলা দেয়া হয়।