আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নকর্মীদের টাকা লোপাট (আত্মসাৎ) করতেন বলে দাবি করেছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলররা প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০–৬০ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর প্রতিজনের নামে ১৫–১৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। হয়তবা তাকে (পরিচ্ছন্নকর্মী) সাত–আট হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাকিটা তারা (কাউন্সিলর) লোপাট করেছেন। পরিচ্ছন্নকর্মীদের নেতাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের। তাদের পরিচ্ছন্ন কাজে দেখা যায় না। আপনারা দেখেন? আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি; কিন্তু তাদের পাইনি।
তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসা মাঠে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরে কামেল মাওলানা ওয়াজেদ আলী খান ও মাওলানা আতিকুল্লাহ খানের বার্ষিক ইছালে ছওয়াব ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ওয়াজেদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাহেদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর আমীর শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মোরশেদুল আলম কাদেরী, নগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক শামসুজ্জামান হেলালী ও কুমিল্লা ওয়াজেদিয়া খানকার সভাপতি আব্দুল হক।
ডা. শাহাদাত পরিচ্ছন্নকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, পরিচ্ছন্নকর্মীরা যদি কাজ না করেন তাদের বাদ দিয়ে নতুন পরিচ্ছন্নকর্মী নেয়া হবে; তারাই প্রত্যেকটা ওয়ার্ড এবং নালা–নর্দমা পরিষ্কার রাখবেন।
তিনি বলেন, বিপ্লব উদ্যানে যে দোকান আছে সেখান থেকে সিটি কর্পোরেশন বছরে মাত্র এক লক্ষ টাকা পেত। অথচ সেখানে তারা লুটপাট করেছে। একইভাবে প্রতিটি সেক্টরে লুটপাট হয়েছে।
মেয়র বলেন, ডেঙ্গুর জন্য সচেতনতা তৈরিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে যাব। রাস্তায় যে ভাঙচুর হয়েছে অনতিবিলম্বে সেগুলো মেরামত করার জন্য বলে দিয়েছি। তিনি বলেন, যতদিন থাকব, সততার সাথে দায়িত্ব পালন করব। যদি কোনো ভুল করে থাকি, ধরিয়ে দিবেন। এতে আমি ব্যথিত হব না এবং দুঃখও পাব না। বরং খুশি হব।
পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে নাগরিক সচেতনতায় জোর দিয়ে মেয়র বলেন, এ শহরটা আমি একা মেয়রের নয়। এ শহরটা আপনাদের সবার। তাই সবাইকে এ শহরটাকে সুন্দর করতে হবে, পরিষ্কার করতে হবে। তিান বলেন, একটা ময়লা রাস্তায় না ফেলে আমরা ডাস্টবিনে ফেলব। একটা মিনারেল ওয়াটারের বোতল যেটা রাস্তায় বা নালায় ফেললে জলাবদ্ধতা হবে, সেটা আমরা ডাস্টবিনে ফেলব। একটা পলিথিন, ককশিট রাস্তায় না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলব। এ ধরনের অভ্যাস আমাদের গড়তে হবে।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম, জি এম আইয়ুব খান, ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, আবদুর রহিম, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মো. ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. বেলাল।