পরাজিত ঘাতকরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশকে লাশের রাজ্যে পরিণত করেছিল। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। কিন্তু ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। বিগত ১৭ বছর ধরে বিএনপি এই আন্দোলন সংগ্রামের মাঠ তৈরি করেছে। তারেক রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং দিক নির্দেশনায় আন্দোলনের সফলতা এসেছে। বর্তমানে ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিলেও দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছে। পরাজিত ঘাতকরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শোভাযাত্রা সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। এরশাদ উল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছে। আজকে বিভিন্ন মহল থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিএনপির ছোটখাটো ভুল ত্রুটিকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, হত্যাকারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আজকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন তালুকদার দিপু, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আলাল, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ক্ষেত্রমোহন রৌয়াজা, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার সৈয়দ আজম উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, সালাউদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব রাজা, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, সদস্য সচিব আলী আকবর, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদার, সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, মহানগর জাসাসের আহ্বায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ শিপন, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক নার্গিস আক্তার, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, মহানগর মৎস্যজীবীদলের সদস্য সচিব এডভোকেট আবদুল আজিজ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।