পরবর্তী সরকারের জন্য একটি পদচিহ্ন রেখে যেতে চাই

চট্টগ্রামে অর্থ উপদেষ্টা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা পরবর্তী সরকারের জন্য একটি পদচিহ্ন রেখে যেতে চাই। যেমন মেটোপথের পরে হাইওয়ে হয়। আমরা যা করবো মানুষ কনশাস থাকবে। পরবর্তী সরকার যদি অনুসরণ না করে মানুষই বাধ্য করবে। বাংলাদেশের আকাশ আর মেঘাচ্ছন্ন থাকবে না, সবার জন্য সূর্যের মতো আলো ছড়াবে। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা কঠিন, চাঁদাবাজির সমঝোতা সহজ। কারওয়ান বাজারে দেখেন। চাঁদাবাজি প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমরা বাজার দর সহনীয় ও মানুষের হাতের নাগালে রাখার চেষ্টা করে অনেকটুকু নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আমরা প্রায়োরিটি দিচ্ছি ব্যবসাবাণিজ্য, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখা। নাগরিকদের সেলফ ডিসিপ্লিন থাকতে হবে। সব নিত্যপণ্যে কর প্রায় শূন্য করে দেওয়া হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করাপশন (দুর্নীতি), ‘পলিটিক্যাল আনসার্টেনিটি না থাকলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ অনেক উপরে চলে যেত। আশাকরি আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাবো। এজন্য জবাবদিহিতার মানসিকতা রাখতে হবে। প্রকল্পে বাড়তি ব্যয় রাখার চেষ্টা করে সেখান থেকে দুর্নীতি করার পরিকল্পনা রাখা যাবে না। দেশের সব সরকারি দপ্তরকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে গুরুত্ব দিতে হবে।

ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম ইস্যুতে সরকার সজাগ এবং সতর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আইনগতভাবে যা করা যায় সরকার তাই করবে। সরকার কারও ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেনি। কেবল ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হচ্ছে। তবে যাচাইবাছাই শেষে তা আবার খুলে দেওয়াও হচ্ছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার, কর কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাউজান পৌর যুবলীগ নেতাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধসিগন্যাল অমান্য করে চোরাই গরু নিয়ে পালানোর চেষ্টা