পরপর পাঁচ বছর এগিয়ে মেয়েরা

পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ at ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে ২০২০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে মেয়েরা পাসের হারের পাশাপাশি জিপিএ৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এবারও মেয়েদের এ ধারাবাহিক সাফল্যের বলয় ভাঙতে পারেনি ছেলেরা। এমনকি পরীক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণও বাড়ছে প্রতি বছর। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ; যার মধ্যে মেয়েদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৪৯ শতাংশ আর ছেলেদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে মোট জিপিএ৫ পাওয়া ১০ হাজার ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫৯ জন। ছাত্র ৪ হাজার ৫১০ জন।

এ বছর সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর বাকিগুলো আর নেওয়া সম্ভব হয়নি ছাত্রজনতার আন্দোলন এবং সরকার পতনের পরের ঘটনাপ্রবাহের কারণে। যে পরীক্ষাগুলো হয়নি সেগুলোর ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিবেচনায় নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়েছে।

গত পাঁচ বছরে ধারাবাহিকভাবে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা পাসের হারের পাশাপাশি জিপিএ৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণও বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

গত বছর (২০২৩ সালে) চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ২৪ শতাংশ। একইভাবে জিপিএ৫ পাওয়া ৬ হাজার ৩৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৫৪ জন আর ছেলেদের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮৮৫ জন।

২০২২ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যার বিপরীতে ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। একইভাবে ওই বছর ১২ হাজার ৬৭০ জন জিপিএ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১০৬ জন আর ছাত্রদের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫৬৪ জন।

২০২১ সালে কম বিষয় ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ওই বছর মোট ১৩ হাজার ৭২০ জিপিএ৫ পাওয়া ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৭ হাজার ৬৭০ জন ছাত্রী জিপিএ৫ পেয়েছে। ছেলেদের মধ্যে জিপিএ৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৫০ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা হয়নি। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নে সবাই পাস করে। ওই বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ৫ পাওয়া ১২ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৯৬ জন। ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৭৪৭ জন।

মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ। ওই বছর ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ১১ আর ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ২১ শতাংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধজামিন পেলেন গ্রেপ্তার দুই শিল্পী