রাঙ্গুনিয়ায় অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন আজগর আলী নামের ৩০ বছর বয়সী এক স্বামী।
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যাচেষ্টা করেন তিনি।
তারপর মারা গেছেন ভেবে তাকে ফেলে থানায় হাজির হয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা বলেন স্বামী।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছাখালী আদিলপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব মিল্কী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “স্ত্রী সুমি আক্তারকে(২৫) গলায় কাপড় পেঁচিয়ে মেরে ফেলেছেন জানিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন আজগর। তবে তিনি মারা যাননি। ঘটনার পর সুমিকে অজ্ঞান অবস্থায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামীম স্যারসহ আমি হাসপাতালে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রিফাত কারনাইন বলেন, “হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সুমির জ্ঞান ছিল না। মুখ দিয়ে শুধু রক্ত বের হচ্ছিল এবং মাথায় সামান্য জখমও ছিল এবং রক্তচাপ ছিল নিচের দিকে। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজগর আলীর বাড়ি বোয়ালখালী থানায় হলেও তিনি রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী আদিলপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। সেখানে তিনি একটি চায়ের দোকান করেন। তার বাবার নাম নুরুল আলম।
তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর গত ৬-৭ মাস আগে পারুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পারুয়া এলাকার মো. ফরিদের মেয়ে সুমিকে বিয়ে করেন তিনি। তার আগের স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। সুমি ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা।
ওসি মাহবুব মিল্কী বলেন, “স্ত্রী সুমি আক্তার অন্য কারো সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত আছে এমন সন্দেহ স্বামীর। এই নিয়ে তাদের সাথে প্রায়শই ঝগড়া হতো। বৃহস্পতিবারও এই নিয়ে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে তাকে হত্যা চেষ্টা করেছে বলে আমাদের কাছে জানিয়েছেন আজগর। এই ঘটনায় সুমি আক্তারের পিতা মোহাম্মদ ফরিদ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। এই মামলায় আজগরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।”